2000 year old civilization: জাতীয় উদ্যান খুঁড়তেই মিলল ২০০০ বছর পুরনো ‘আধুনিক’ সভ্যতা, রয়েছে জলাধারও

১৫০০ বছর আগে পাথরে আঁকা ছবি, ১৮০০ থেকে ২০০০ বছর আগে মানুষের তৈরি একাধিক ভাস্কর্য নিদর্শন। এগুলি এক লহমায় দেখলে রীতিমতো চমকে উঠতে হয়। সম্প্রতি ভারতীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগ এই নিদর্শনগুলিরই খোঁজ পেলেন মধ্যপ্রদেশের বান্ধবগড় ন্যাশনাল পার্কে। বর্তমানের ওই টাইগার রিজার্ভটি পুরাতাত্ত্বিকদের মতে প্রাচীনকালে বাণিজ্যের পথ হিসেবে ব্যবহার করা হত। শুধু তাই নয়, সেখানে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য পাথরে কাটা গুহার মধ্যেও আশ্রয় নিতেন তৎকালীন ব্যবসায়ীরা। মধ্যপ্রদেশের বান্ধবগড় ন্যাশনাল পার্কের এই আবিষ্কারের ফলে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সারা ভারতে। 

আরও পড়ুন: অর্থ উপার্জন বাড়বে হুহু করে, হবে লক্ষীলাভ! কোন কোন স্বপ্ন দেখলে এমনটা হয় জানেন

আরও পড়ুন: প্রতি মাসেই টাকা খরচ হয়ে যাচ্ছে দেদার, ৫ ব্যাপারে রাশ টানলেই বাঁচবে গাঁটের কড়ি

একটি জাতীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী এই অঞ্চলে শুধুই ভাস্কর্যের নিদর্শন মিলেছে তা নয়, বরং পাওয়া গিয়েছে জলাধারের অবশেষও। ভারতীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগের এক আধিকারিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ওই জলাধারগুলি মূলত বৃষ্টির জল সংরক্ষণের জন্য ব্যবহার করা হত। য রীতিমতো আধুনিক মানুষদের জীবনযাপনের কায়দার সঙ্গে মিলে যায়। এই জলাধারগুলি কমপক্ষে ১৮০০ থেকে ২০০০ বছর আগে তৈরি। তবে চাঞ্চল্যকর বিষয় অন্য একটি। দেখা গিয়েছে ১০০০ বছর আগেও এই জলাধার সারাই করা হয়েছে! অর্থাৎ ১০০০ বছর ধরে নিয়মিত জলাধার ব্যবহারের রীতি ছিল। আপাতত সেখানে এখনও ভারতীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগ সক্রিয়ভাবে অনুসন্ধান কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এখনও মাটি খুঁড়ে দুই সহস্র বর্ষ প্রাচীন সভ্যতার নতুন নতুন নিদর্শন খুঁজে বার করা হচ্ছে। মধ্যপ্রদেশের উমারিয়া জেলায় অবস্থিত বান্ধবগড় টাইগার রিজার্ভ। সেখানেই প্রথম দেখা মিলেছে ১৫০০ বছর পুরনো শিলাঙ্কন। যার আঁকার ধরন রীতিমতো অবাক করেছে পুরাতত্ত্ব আধিকারিকদের। ২০০০ বছর আগে থেকেই বৃষ্টির জল ধরে রাখার কায়দা ও শিলাঙ্কনের ধরন দেখেই তাঁদের দাবি, পুরনো হলেও এই সভ্যতা সেই সময়ের নিরিখে অনেকটাই আধুনিক ছিল। 

ভারতীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগের এক আধিকারিক শিবকান্ত বাজপেয়ি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, যেই এলাকাকে এখ বান্ধবগড় বলে চিহ্নিত করা হয়, সেখান দিয়ে একসময় ট্রেড রুট বা বাণিজ্য পথ গিয়েছিল। যেসব ব্যবসায়ীরা এখান দিয়ে যাতায়াত করতেন, তারা এখানে বিশ্রাম করতেন। সেই মাফিকই তৈরি করা হয়েছিল ওই বিশেষ পাথুরে গুহাগুলি। পাথর কেটে তৈরি গুহার ধরনও রীতিমতো আধুনিক। যা দেখে আরও নতুন তথ্যের সন্ধান মিলবে বলে আশা করছে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগ। 

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup