Dhruv Helicopters Grounded by Army: দুই মাসে তিনটি ‘ক্র্যাশ’, এরপরই ধ্রুব হেলকপ্টার নিয়ে ‘অ্যাকশন’ সেনার

গত বৃহস্পতিবারই জম্মু ও কাশ্মীরের কিস্তাওয়ারের কাছে নদীর ধারে ভেঙে পড়েছিল অ্যাডভান্সড লাইট হেলিকপ্টার ধ্রুব। আর আজ সব ধ্রুব হেলিকপ্টারকে ‘গ্রাউন্ড’ করল সেনা। অর্থাৎ, আপাতত আর আকাশে উড়বে না সেনার এই হেলিকপ্টার। এই নিষেধাজ্ঞা সাময়িক বলে জানানো হয়েছে সেনার তরফে। এর আগে বৃহস্পতিবারের ঘটনায় দুই হেলকপ্টার চালক আহত হয়েছিলেন। প্রাণ হারিয়েছিলেন এক টেকনিশিয়ান। গত দুই মাসে এই নিয়ে সেনার তিনটি ধ্রুব হেলিকপ্টার ভেঙে পড়ে। আর এই আবহে আপাতত এই হেলিকপ্টার না ওড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেনা।

সেনা সূত্রে জানানো হয়েছে, প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবেই আপাতত ধ্রুব হেলিকপ্টার ওড়ানো হবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেনার উচ্চ পর্যায়ের আধিকারিকরা। উল্লেখ্য, এর আগে নৌবাহিনী এবং কোস্ট গার্ড গত মার্চ মাসে তাদের নিজ নিজ ধ্রুব হেলিকপ্টারের বহরকে ‘গ্রাউন্ড’ করেছিল যান্ত্রিক গোলযোগের পর। এর আগে ভারতীয় নৌবাহিনী ধ্রুব আরব সাগরে অবতরণ করতে বাধ্য হয় এবং উপকূলরক্ষী বাহিনী ধ্রুব কোচি থেকে উড়ানের কিছুক্ষণ পরেই অবতরণ করে। এরপর নৌবাহিনী এবং কোস্ট গার্ড নিজেদের ধ্রুব হেলিকপ্টারের ওপরে পরীক্ষা চালায়। এই হেলিকপ্টারে কোনও প্রযুক্তিগত ত্রুটি রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে বের করার চেষ্টা চলে। তবে পরীক্ষার পর সেটিকে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়। এরপর নৌবাহিনী এবং কোস্ট গার্ড ফের ধ্রুব হেলিকপ্টার ওড়ানো শুরু করে। তবে এরই মধ্যে উপত্যকায় ভেঙে পড়ে সেনার ধ্রুব হেলিকপ্টার। এই আবহে এবার সেনার তরফে ধ্রুব হেলিকপ্টারের পরীক্ষা চালানো হবে।

জানা গিয়েছে, গত ৪ মে বৃহস্পতিবার কাশ্মীরের কিস্তাওয়ার এলাকায় একটি মিশনে যাচ্ছিল সেনার ধ্রুব হেলিকপ্টারটি। সেই সময় ‘আপৎকালীন পরিস্থিতি’র ঘোষণা করে দ্রুত মারুয়া নদীর ধারে নেমে পড়ে হেলিকপ্টারটি। তবে সেটি মসৃণ ভাবে অবতরণ করতে পারেনি জমিতে। এই আবহে হেলিকপ্টারটি ভেঙে যায়। তাতে থাকা দুই চালক গুরুতর ভাবে আহত হন। এদিকে হেলিকপ্টারে থাকা টেকনিশিয়ানকে আর বাঁতানো সম্ভব হয়নি। নর্দার্ন কমান্ডের হেডকোয়ার্টারের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, প্রযুক্তিগত কিছু ত্রুটির কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এই আবহে সেনার তরফে আপাতত বসিয়ে দেওয়া হল সবকটি ধ্রুব হেলিকপ্টার।