প্যারিস: সপরিবারে সৌদি ঘুরতে গিয়েই চরম বিপাকে পড়েছেন লিওনেল মেসি (Lionel Messi)। ক্লাবের অনুমতি না নিয়েই সপরিবারে সৌদি সফর করায় আর্জেন্তাইন তারকাকে নির্বাসিত করে প্যারিস সঁ জরমঁ (Paris Saint-Germain)। এবার সেই সফরের জন্যই ক্লাব এবং সতীর্থদের কাছে ক্ষমা চাইলেন মেসি।
মেসির ক্ষমা
মেসি একটি ভিডিও প্রকাশ করে সকলের কাছে ক্ষমা চেয়ে বলেন, ‘আমার মনে হয়েছিল সাধারণত যেমন ম্যাচের পরেরদিন আমাদের ছুটি থাকে, তেমনই ছুটি থাকবে। সেই কারণেই আমি এই সফরটা করার পরিকল্পনা করেছিলাম এবং কোনভাবেই তা বাতিল করা সম্ভব ছিল না। কারণ এর আগেও আমি একবার সফর বাতিল করেছিলাম। আমি সতীর্থদের কাছে ক্ষমা চাইছি। ক্লাব আমার বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেয় এখন সেটারই অপেক্ষায় আছি।’
এরই মাঝে খবর লিওনেল মেসি এ মরসুম শেষেই পিএসজি ছাড়ছেন। গত মরসুমে দুই বছরের চুক্তিতে মেসিকে সই করায় প্যারিসের ক্লাবটি। তাঁর চু্ক্তিতে এক বছরের চুক্তি বাড়ানোর বিকল্প রয়েছে বটে। তবে পিএসজি সেই বিকল্প কাজে লাগাবে না বলেই খবর। এই নির্বাসনের পরে আরও জোরদার হয়েছে মেসির ক্লাব ছাড়া জল্পনা। পিএসজি কোচ ক্রিস্টফ গাল্টিয়েরের কথাতেও কিন্তু মেসির ভবিষ্যত নিয়
ে জল্পনা আরও বাড়লই বটে।
তারকার ভবিষ্যত কী?
পিএসজি কোচ বলেন, ‘এই নির্বাসনের পর কি মেসিকে আবার পিএসজির হয়ে খেলতে নামবেন? ও যখন ফিরবে, তখনই না হয় এই বিষয়টি নিয়ে ভাবব। ক্লাবের সঙ্গে এই নিয়ে কথা তো বলবই। পাশাপাশি লিওর সঙ্গেও আলোচনায় বসব।’
বার্সেলোনা অনুরাগীদের একাংশ আশা করছেন যে মেসি বার্সেলোনায় ফিরবেন। তবে খবর অনুযায়ী, বার্সা নয়, বরং মেসিকে দলে নিতে আগ্রহী সৌদি আরবের ক্লাব আল-হিলাল (Al-Hilal)। মাস কয়েক আগেই ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে (Cristiano Ronaldo) দলে নিয়েছে সৌদি আরবেরই আরেক ক্লাব আল নাসর। তাঁকে ফুটবল ইতিহাসের সর্বকালের সবচেয়ে বড় চুক্তির মাধ্যমে দলে নিয়েছে সৌদির এই ক্লাবটি। এই চুক্তি অনুযায়ী রোনাল্ডো প্রত্যেক মরসুমে ভারতীয় মুদ্রায় ১৮০৭ কোটি টাকা (২১০ মিলিয়ন ডলার) পান। আড়াই বছরের চুক্তিতে তিনি আল নাসরের হয়ে :সই করেছেন।
তবে শোনা যাচ্ছে মেসিকে রোনাল্ডোর দ্বিগুণেরও বেশি অর্থের চুক্তিতে দলে নিতে আগ্রহী আল হিলাল। খবর অনুযায়ী মেসিকে ৩৬২০ কোটি টাকার চুক্তিতে দলে নিতে আগ্রহী আল হিলাল। তবে গোটা বিষয়টাই এখনও জল্পনার পর্যায়তেই রয়েছে। মরসুম শেষ হলে ছবিটা আরও পরিস্কার হবে বলে আশা করা যেতেই।
আরও পড়ুন: কোভিড আর ‘বিপদ’ নয়? বড়সড় ঘোষণা WHO-এর