কনভয় দুর্ঘটনায় নিহতের বাড়িতে তৃণমূল বিধায়ক, ৫ লাখের চেক তুলে দিলেন সোহম

শুভেন্দু অধিকারীর কনভয় দুর্ঘটনায় চণ্ডীপুরের যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। এই খবর জনসংযোগ যাত্রায় পেয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তখনই দলের বিধায়ককে নির্দেশ দিয়েছিলেন ওই পরিবারের পাশে থাকার জন্য। আর ৫ লাখ টাকা সাহায্য করবেন তিনি। আজ, রবিবার চণ্ডীপুরে নিহত শেখ ইসরাফিলের পরিবারের হাতে সেই আর্থিক সাহায্য তুলে দিলেন বিধায়ক সোহম চক্রবর্তী। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে পাঁচ লাখ টাকা আর্থিক সাহায্য তুলে দেওয়া হয় ওই পরিবারের হাতে। এমনকী এই পরিবারকে সবরকম আইনি সাহায্য দেওয়ারও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। ওই কনভয়ের চালক আনন্দকুমার পাণ্ডে আত্মসমর্পণ করেন চণ্ডীপুর থানায়। গাড়িটিকে বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।

এদিকে এই দুর্ঘটনার তদন্ত করতে চণ্ডীপুর থানার পুলিশ শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়ের চারজনকে নোটিশ পাঠিয়েছে। সিকিউরিটি ইনচার্জ মহেন্দ্র সিং, পার্সোনাল সিকিউরিটি অফিসার প্রসেনজিৎ ঘোষ, কনস্টেবল মুকেশ কুমার এবং কনস্টেবল রঞ্জিতকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ অনুযায়ী, পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন চণ্ডীপুর বিধানসভার বিধায়ক সোহম চক্রবর্তী। এখানে উপস্থিত ছিলেন কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি, চণ্ডীপুর বিধানসভার প্রাক্তন বিধায়ক অমিয়কান্তি ভট্টাচার্য এবং ঈশ্বরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুনীলকুমার প্রধান।

অন্যদিকে এই অমানবিক ঘটনার প্রতিবাদে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য নেতা–সহ দুই জেলার শীর্ষ নেতৃত্বের উপস্থিতিতে চণ্ডীপুর এবং কাঁথিতে কর্মসূচি পালন করা হয়। কাঁথিতে মেচেদা বাইপাস থেকে শুরু করে সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ড হয়ে কলেজ রোড দিয়ে শান্তিকুঞ্জের সামনে দিয়ে দেহ নিয়ে মিছিল করেন তাঁরা। এই মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি তরুণ মাইতি, পটাসপুরের বিধায়ক উত্তম বারিক–সহ অন্যান্যরা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা মতো ৫ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন পরিবারের হাতে।

ঠিক কী বলছেন বিধায়ক?‌ বিধায়ক সোহম চক্রবর্তী জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে আমরা পরিবারের পাশে আছি। তাঁর কথায়, ‘‌এই পরিবারকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার কথা দিয়েছিলাম। তাই কিছু অর্থ তুলে দেওয়া হল। আগামীদিনেও তাঁদের পাশে থাকব আমরা। একই সঙ্গে এই ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিরা যাতে শাস্তি পায় সেদিকেও আমাদের নজর থাকবে। ছেলে চলে গিয়েছে বলে এই টাকা নয়। সন্তান হারানোর বেদনা টাকা দিয়ে পূরণ করা যায় না। এটা শুধুমাত্র পাশে থাকার চেষ্টা। ওই ছেলেই ছিল পরিবারের একমাত্র রোজগেরে। তাঁর ছোট্ট ছেলের পাশে থাকার চেষ্টা করছি। তাই এই ছোট্ট প্রয়াস।’‌