Rape in Balurghat: মানসিক অবসাদে আত্মহনন ধর্ষিতা কিশোরীর

বালুরঘাটে মানসিক ভারসাম্যহীন এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল এক বছর আগে। সেই ঘটনায় অবসাদে কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হল কিশোরী। গত মঙ্গলবার কীটনাশক খায় ওই কিশোরী। এরপর তাকে ভর্তি করা হয়েছিল বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছিল। শনিবার সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় কিশোরীর মৃত্যু হয়। কিশোরীর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে বালুরঘাট থানার পুলিশ। এদিকে, এই ঘটনার পরেই অভিযুক্ত গ্রেফতার করা হয়েছিল। বর্তমানে অভিযুক্ত জেল হেফাজতে রয়েছে।

গত বছরের ২৬ এপ্রিল ওই কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এই অভিযোগ উঠেছিল তার দূর সম্পর্কের এক মামার বিরুদ্ধে। বাড়ি থেকে অসুস্থ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করেন পরিবারের সদস্যরা। এরপরের দিন সকালে অসুস্থ হয়ে পরিবারের সদস্যরা তাকে বালুরঘাট হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন। সেখানে চিকিৎসকরা জানতে পারেন কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এরপরে তাঁরা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। অভিযোগ পাওয়ার পরেই কিশোরীর দূর সম্পর্কের মামাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

এদিকে, ঘটনার বিষয়টি জানাজানি হওয়ার ভয়ে পরিবারের সদস্যরা কিশোরীকে আটকে রাখেন। কিন্তু, তাতে মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন ওই কিশোরী। গত মঙ্গলবার বিকেলে অবসাদে কীটনাশক খায় ওই কিশোরী। এরপর তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান পরিবার সদস্যরা। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছিল। পরিবারের অভিযোগ, ধর্ষণের পর থেকে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিল সেই অবসাদ সে কীটনাশক খেয়েছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বালুরঘাট থানার পুলিশ।

কিশোরীর এক আত্মীয় জানান, ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছিল প্রায় এক বছর আগে। কিন্তু, সেই ঘটনার পর থেকে কিশোরী পুরোপুরি বদলে যায়। সে কারো সঙ্গে ঠিকমতো কথাবার্তা বলত না। একা থাকত, পরিবারের লোকেরা তাকে কোনওভাবেই বাড়ি থেকে বাইরে বের হতে দিতেন না। সেই অবসাদ থেকে কীটনাশক খেয়ে ফেলে ওই কিশোরী। বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে টানা কয়েকদিনের লড়াই শেষে মৃত্যু হয় ওই কিশোরীর। ঘটনা পরে দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে বালুরঘাট থানার পুলিশ। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup