Sukanta Majumder: ৪২০ ওর সব থেকে পছন্দের সংখ্যা মনে হয়, অভিষেককে কটাক্ষ সুকান্ত মজুমদারের

লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কর্মীদের ৪০টি আসনের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেওয়ায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। রবিবার হুগলির চণ্ডীতলায় এক দলীয় অনুষ্ঠানে যোগদান করে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ওনার সব সংখ্যাই ৪২০-র আসেপাশে ঘোরাঘুরি করে।

এদিন সুকান্তবাবু বলেন, ‘স্বপ্ন দেখতে তো মানা নেই। স্বপ্ন দেখতেই পারেন। কিন্তু সব কিছু কেমন যেন ৪২০-র আসেপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এর আগে বলেছিলেন বিধানসভায় ২৪০ আসন জিততে হবে। একটু এদিক ওদিক করে নিলেই ওটা ৪২০ হয়ে যাবে। আবার বলেছেন লোকসভায় ৪০ আসন জিতব। সেখানেও মাঝখানে একটা ২ বসিয়ে দিলে ৪২০ হয়ে যাবে। ওনার হয়তো প্রিয় সংখ্যা ৪২০’।

মালদায় তৃণমূলকর্মীদের বিজেপিতে যোগদান নিয়ে তিনি বলেন, ‘গোটা মালদা, মুর্শিদাবাদ জেলা জুড়ে তৃণমূলের ভাঙন শুরু হয়েছে। বিশেষ করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছে। মানুষ সম্মানের জন্য রাজনীতি করে। তৃণমূলে থেকে কেউ চোর চোর স্লোগান শুনতে চাইছে না। তাই তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেস ও বিজেপিতে যোগ দিচ্ছে’।

শুভেন্দু অধিকারীর ‘পিছনের খেলা’ মন্তব্য নিয়ে তিনি বলেন, ‘ডিএ মামলা কেন পিছিয়ে যাচ্ছে? আমরা চাই কোর্ট শুনানি করে রায় দিক রাজ্য সরকার ডিএ দেবে কি না’।

তৃণমূল নেতা অজিত মাইতির কুরমিদের নিয়ে করা মন্তব্যের প্রেক্ষিতে সুকান্তবাবু বলেন, ‘কুরমিরা তাদের ন্যায্য অধিকার নিয়ে আন্দোলন করছে। তাদের মধ্যে কোনো বিচ্ছিন্নতাবাদী চিন্তা ভাবনা নেই। তৃণমূলকে উচিত শিক্ষা দেবে কুর্মিরা’।

DA-র আন্দোলনের মঞ্চে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে সোনালি গুহর উপস্থিতি নিয়ে সুকান্তবাবু বলেন, ‘সোনালি গুহ অনেকদিন আগেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছেন। বর্তমানে তিনি সক্রিয়ভাবে বিজেপি করেন না। ওনার ব্যাপারে দল আগামীতে সিদ্ধান্ত নেবে’।