বিধ্বংসী আগুন লাগল ডানকুনির প্লাস্টিক কারখানায়, দমকলের সাতটি ইঞ্জিন কাজ করছে

আজ, সোমবার হুগলি জেলার ডানকুনিতে একটি প্লাস্টিকের কারখানায় বিধ্বংসী আগুন লাগল। ওই কারখানায় প্লাস্টিকের যাবতীয় জিনিসপত্র তৈরি করা হয়। আজ সকালে ওই কারখানায় আগুন লাগে। তার জেরে গোটা এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়। কারণ আগুনের লেলিহান শিখা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। এই আগুন দেখতে পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা দমকলে খবর দেন। খবর দেন পুলিশকেও। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ডানকুনি থানার পুলিশ এবং দমকল বাহিনী। আর জোরদার প্রচেষ্টায় আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন।

ঠিক কী ঘটেছে ডানকুনিতে?‌ স্থানীয় সূত্রে খবর, সকালে ঘুম থেকে উঠে বাসিন্দারা এই বিধ্বংসী আগুন দেখতে পান। তখনই পুলিশ ও দমকলে খবর দেন। প্রথমে দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন এসে ঘটনাস্থলে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। কিন্তু টানা ৪ ঘণ্টা কাজ করলেও নিয়ন্ত্রণে আসেনি আগুন। তখন বাধ্য হয়ে দমকলের আরও দুটি ইঞ্জিন নিয়ে আসতে হয়। তারপর দমকলের সাতটি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর কাজ দ্রুতগতিতে করছে বলে খবর।

তারপর ঠিক কী ঘটল?‌ এই আগুন লাগে ডানকুনির একটি প্লাস্টিক কারখানায়। ওই কারখানায় ১০০ জন শ্রমিক কাজ করেন। সেখানে সকালে কাজ করতে এসেছিলেন। এই আগুনের ভয়াবহতা দেখে তাঁরা চমকে ওঠেন। আগুন এখনও নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা সম্ভব হয়নি। তবে তা কিছুক্ষণের মধ্যে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা সম্ভব হবে বলে দমকল সূত্রে খবর। দমকলের সাতটি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর কাজ করছে। এখানের শ্রমিকরা কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। কারণ এই মন্দার বাজারে কাজ চলে গেলে বিপদে পড়ে যাবেন তাঁরা। চারিদিকে তাঁরা ফোন করতে শুরু করেছেন।

দমকল ঠিক কী তথ্য পেয়েছে?‌ দমকল সূত্রে খবর, আজ সোমবার সকালে এই প্লাস্টিক কারখানায় আগুন লাগে। আগুনের লেলিহান শিখার তীব্রতা এতটাই ছিল যে প্রথমে পাঁচটি ইঞ্জিন নিয়ে এসেও তা বাগে আনা যায়নি। তারপর আরও দুটি ইঞ্জিন এনে একসঙ্গে কাজ শুরু করা হয়েছে। কিছুক্ষণের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। কারখানার ভিতরে প্রচুর পরিমাণে মজুত রয়েছে দাহ্য পদার্থ। তার জেরেই আগুন বেড়ে যায়। যা নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হচ্ছে। আগুনও ছড়িয়েও পড়ছে। ফলে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে মানুষের মনে। কী থেকে আগুন লাগল সেটা এখনও জানা সম্ভব হয়নি। ঘটনার তদন্ত চলছে।