সাইক্লোন মোখা কোথায় যাবে তার এখনো ঠিক নেই, আগামী সপ্তাহে রাজ্যে ক্রমশ চড়বে পারদ

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণাবর্তের জন্য আগামী কয়েকদিন আন্দামান – নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে আঘাত হানতে চলেছে দুর্যোগ। রবিবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে এমনই জানালেন পূর্বাঞ্চলীয় আবহাওয়া অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি জানিয়েছেন, ১১ মে পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে ঝড়বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। আদৌ ঝড়ের কোনও প্রভাব পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে পড়বে কি না সে ব্যাপারে আভাস পাওয়া যেতে পারে সোমবার।

এদিন সঞ্জীববাবু বলেন, ‘বর্তমানে ঘূর্ণাবর্তের অবস্থান দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন দক্ষিণ আন্দামান সাগর। এই সোমবার একই জায়গায় ঘূর্ণাবর্তটি নিম্নচাপে পরিণত হবে। মঙ্গলবার নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার পর প্রায় উত্তর দিকে এগিয়ে যাবে ঝড়টি। উত্তর আন্দামান সাগর ও মধ্য বঙ্গোপসাগরে পৌঁছে নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে নিম্নচাপ। ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পরে কী হবে সেটা যখন নিম্নচাপ তৈরি হবে তখন জানাবে আবহাওয়া দফতর’।

তিনি বলেন, ‘এই নিম্নচাপের প্রভাবে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে সতর্কতা জারি করা হচ্ছে। আন্দানমান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের গা বেয়ে যেহেতু ঝড়টি এগোবে তাই ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দু’-এক জায়গায় প্রবল বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে’।

তিনি জানিয়েছেন, ‘শুরুর দিকে হাওয়ার গতি ৪০ – ৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা থাকলেও সর্বোচ্চ গতি ৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা ছুঁতে পারে। এর ফলে ৭ – ৮ মে নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। ৯ মে নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। ওই দিন আন্দামানে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। ১০ – ১১ মে সব থেকে বেশি বৃষ্টি হবে। রবিবার বিকেল থেকে আন্দামানে ঝোড়ো হাওয়া বইতে শুরু করবে। প্রাথমিক ভাবে গতি থাকবে ঘণ্টায় ৪০ – ৫০ কিলোমিটার। ক্রমশ এটা বাড়বে। ৯ মে হাওয়ার গতিবেগ ৫০ – ৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা ও ১০ মে ৬০ – ৭০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা হাওয়ার বেগ থাকবে। আজ রাত থেকে আন্দামানে ক্রমশ উত্তাল থাকবে সমুদ্র। ১০ মে জলোচ্ছাস দেখা দিতে পারে। যার ফলে রবিবার রাত থেকে ১২ মে পর্যন্ত সমস্ত মৎস্যজীবীকে আন্দামান সাগরে মাছ ধরতে যেতে বারণ করা হচ্ছে’।

সঞ্জীববাবু স্পষ্ট করেন, ‘১১ মে পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে ঝড়বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। ঝড়ের কোনও প্রভাব ভারতের উপকূলে পড়বে কি না তা জানা যাবে সোমবার। এমনকী এই ঝড়ের জেরে পশ্চিমবঙ্গে ফের তাপপ্রবাহের মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।