Ajit Doval in Saudi: মধ্যপ্রাচ্যে রেললাইন বসাতে চায় আমেরিকা, পরিকল্পনা নিয়ে সৌদিতে বৈঠক ডোভালের

সৌদি আরবে গিয়ে মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সালিভানের সঙ্গে বৈঠক করলেন ভারতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। সেই বৈঠকে ছিলেন সৌদির যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শেখ তাহনুন বিন জায়েদ আল নাহিয়ান। জানা গিয়েছে এই বৈঠকে পশ্চিম এশিয়ায় রেললাইন বসানো নিয়ে আলোচনা করা হয়। বৈঠকে উপস্থিত চার দেশ মিলে এই প্রকল্প গড়তে চাইছে। শুধু রেললাইন নয়, জলপথেও পশ্চিম এশিয়ার সঙ্গে ভারত হয়ে দক্ষিণ এশিয়ার যোগাযোগ আরও পোক্ত করার বিষয়েও আলোচনা হয় চার নেতার। জানা গিয়েছে, এই অঞ্চলে চিনের প্রভাব বিস্তার পাওয়ায় পালটা রেললাইন গড়ার পরিকল্পনা নেয় আমেরিকা। ভারতের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এই প্রকল্প গড়তে চায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এতে লাভবান হবে ভারত এবং আরব দেশগুলি।

জানা গিয়েছে, সৌদি যুবরাজের সঙ্গে বৈঠক ছাড়াও সেদেশে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয় ডোভাল ও সালিভানের। গত কোয়াড বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে দুই দেশের অগ্রগতি নিয়ে সেই বৈঠকে আলোচনা হয় বলে জানা গিয়েছে। এদিকে সৌদি যুবরাজের সঙ্গে বৈঠকের প্রেক্ষিতে হোয়াইট হাউজের তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ‘মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সালিভান গতকাল সৌদি আরবে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, সৌদি প্রধানমন্ত্রী ও ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সলমন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শেখ তাহনুন বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গে বৈঠক করেন। আরও নিরাপদ ও সমৃদ্ধ মধ্যপ্রাচ্য গড়ে তুলতে যৌথ ভাবে কাজ করা নিয়ে কথা হয় তাঁদের। পাশাপাশি একই দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এগিয়ে যাওয়া নিয়েও আলোচনা হয় বৈঠকে। এই অঞ্চলটি যাতে ভারত এবং বাকি বিশ্বের সঙ্গে আরও যুক্ত থাকে, তা নিয়েও মতামত বিনিময় হয়।’

উল্লেখ্য, গত মার্চে ইরানের সঙ্গে সৌদির শান্তি চুক্তিতে মধ্যস্থতা করেছিল চিন। ইরানের সঙ্গে সম্প্রতি চিনের সম্পর্ক বেশ ভালো হয়েছে। এই আবহে ধীরে ধীরে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলির ওপর চিন নিজের প্রভাব বিস্তার করতে চাইছে। এদিকে ইরানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ঐতিহাসিক ভাবে ভালোই থেকেছে। এককালে ইরানের থেকেই সর্বোচ্চ জ্বালানি তেল আমদানি করত। তবে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পর সেই আমদানিতে ছেদ পড়ে। এদিকে ইরানের চাবাহার বন্দরে ভারতের বিনিয়োগ নিয়েও বিগত দিনে শুরু হয়েছে জটিলতা। এদিকে মার্কিন বিরোধিতার দিক থেকে এক মেরুতে থাকায় চিনের সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক ভালো হয়েছে। এদিকে আমেরিকার সঙ্গে সৌদির সম্পর্ক চিরকালই ভালো ছিল। তবে সাম্প্রতিককালে সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ডের পর থেকে সেই সম্পর্কে চিড় ধরেছে। সৌদির সঙ্গে আমেরিকার চিড় ধরা সম্পর্ক জোড়া লাগাতে ‘মধ্যস্থতাকারী’ হচ্ছে ভারত। এই অঞ্চলে যাতে চিনা প্রভাব বিস্তার না করে, সেদিকে নজর থাকবে ভারত এবং আমেরিকার।