Amit Shah: শিল্পের বহিঃপ্রকাশ হওয়া উচিত বাঁধনহীন, রবীন্দ্রনাথকে স্মরণ করে বললেন অমিত শাহ

শিল্পের অভিব্যক্তিতে কোনও বিধিনিষেধ থাকা উচিত নয়, এই ভাবনা থেকেই সাহিত্য রচনা করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। রাজ্য সরকার ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ নিষিদ্ধ করার পরদিন কলকাতায় সায়েন্স সিটি অডিটোরিয়ামে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে স্মরণ করতে গিয়ে এই মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এদিন দেশ ও বিদেশে সাহিত্যসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে রবীন্দ্রনাথের অবদান স্মরণ করেন তিনি।

এদিন শাহ বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথকে মহাপুরুষ বললেও কম বলা হয়। বিবিধপ্রেক্ষিতে নিবিড় ভাবে কবিগুরুর অবদানকে দেখলে প্রকৃত অর্থে তিনি বিশ্বমানব ছিলেন। দেশ বা শিল্পের ক্ষেত্রে নয়, বিশ্বের বিবিধ ক্ষেত্রে তাঁর অবদান প্রসারিত ছিল। কবিগুরুকে স্মরণ করা, তাঁকে শব্দে বর্ণনা করা খুব কঠিন। কারণ তাঁর জীবন নানাবিধ ক্ষেত্রে অবদানে পূর্ণ যাতে স্পষ্ট তিনি বহুমুখি প্রতিভার অধিরারী ছিলেন’।

এর পর তিনি মনে করান, ‘শিল্পের অভিব্যক্তিতে কোনও বাঁধন থাকা উচিত নয়। শিল্পীর ভাবনা ও শিল্পের বহিঃপ্রকাশ সব রকমের বিধিনিষেধ থেকে মুক্ত থাকা উচিত। এই ভাবনা থেকেই রবীন্দ্রনাথ শিল্পে নিজের অবদান রেখেছেন’। তিনি বলেন, ‘গোটা বিশ্বে ভারতীয় শিল্পের বহিঃপ্রকাশের সব থেকে বড় মাধ্যমের নাম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর’।

শাহ বলেন, ‘মুখস্থ করে নম্বর পাওয়ার ইংরাজি শিক্ষা নয়, শিক্ষার্থীর মধ্যে অনন্ত আকাশ ছোঁয়ার অন্তর্নিহিত যে শক্তি থাকে তাকে উন্মুক্ত করার শিক্ষা দেওয়ার জন্য শান্তিনিকেতন তৈরি করেন রবীন্দ্রনাথ। শিক্ষার দানের এই প্রচেষ্টা আগলে রাখার মতো। গোটা বিশ্বের সামনে প্রতিষ্ঠা করার মতো। ভারতের আত্মার সঙ্গে বিশ্বের পরিচয় করিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ’।

নিজের রাজ্য গুজরাতের সঙ্গেও রবীন্দ্রনাথের যোগাযোগের কথা উল্লেখ করেন শাহ। বলেন, ‘গুজরাত ও গুজরাতি সাহিত্যের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের নিবিড় যোগাযোগ ছিল। মাত্র ১৭ বছর বয়সে আমদাবাদে গিয়েছিলেন তিনি।’