Cheetah Died in Kuno: আফ্রিকা থেকে আনা চিতার ফের মৃত্যু, কুনোতে ৪০ দিনে মারা গেল…

আফ্রিকা থেকে আনা চিতার ফের মৃত্যু মধ্য়প্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে। সোমবার বনদফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, গত ৪০ দিনের মধ্যে এটা হল তৃতীয় চিতার মৃত্যু। মহিলা চিতা দক্ষার মৃত্য়ু হল এবার। সেক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবেই বনদফতরের অন্দরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তবে কীভাবে এই চিতাটির মৃত্যু হয়েছে তা নিয়ে এখনও স্পষ্টভাবে কিছু জানা যায়নি। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে এই খবর মিলেছে। এর আগে গত মার্চ মাসে সাশা নামে একটি পুরুষ চিতার মৃত্যুর হয়েছিল। এবার মৃত্যু হল মহিলা চিতার।

এদিকে গত ২৭ মার্চ নামিবিয়া থেকে আসা চিতা সাশার মৃত্যু হয়েছিল। সেই সময় বনদফতরের তরফে বলা হয়েছিল কিডনি বিকল হয়ে মৃত্যু হয়েছে এই চিতার। ওই চিতাটির বয়স ছিল সাড়ে চার বছর। নামিবিয়া থেকে আনা হয়েছিল ওই চিতাগুলিকে।

সেই সময় বনদফতরের তরফে জানানো হয়েছিল আসার পর থেকেই কিছুটা অসুস্থ ছিল সাশা। তার চিকিৎসার জন্য একটি ঘেরা জায়গায় রাখা হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও তাকে রক্ষা করা গেল না। দেখা যায় সাশার ক্রিয়েটিনিন লেভেল প্রায় ৪০০ হয়ে গিয়েছিল। অর্থাৎ সেটির কিডনি ঠিকঠাক কাজ করছিল না। তারপর সেটি ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যায়।

সেই সময় চিতা কনসার্ভেশন ফান্ডের মুখপাত্র সুশান ইয়ানেত্তি মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, সোমবার সকাল ৮টা নাগাদ চিতাটির মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে রেনাল ফেলিওর হয়েছিল। এটা চিতাদের হয়। তাদের এই প্রস্রাবজনিত সমস্যাটা হয়। তবে ময়না তদন্তের পরে গোটা ঘটনাটি পরিষ্কার হবে।

মধ্য়প্রদেশের পিসিসিএফ বন্যপ্রাণ জেএস চৌহান জানিয়েছিলেন সাশার রেনাল ফেলিওরে ভুগছিল। কিন্তু ভালোও হয়ে যাচ্ছিল। তাকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল। তাকে মোষের মাংস দেওয়া হত দুর্বলতা কাটানোর জন্য। কিন্তু পরবর্তী সময় মৃত্যু হয়েছিল সাশার।

গত ১৭ সেপ্টেম্বর কুনো ন্যাশানাল পার্কে নামিবিয়া থেকে চিতা এনে ছাড়া হয়েছিল। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই চিতা আনার ব্যাপারে বিশেষভাবে উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু একের পর এক চিতার মৃত্যুর জেরে উদ্বেগ ছড়াচ্ছে ক্রমশ।