Teacher stabbed doctor: তোমাকে শেষ করে দেব… হাসপাতালের মধ্যেই মহিলা চিকিৎসককে কুপিয়ে খুন করল শিক্ষক

কেরলের কোল্লাম জেলার কোট্টারাক্করা তালুক হাসপাতাল। সেখানেই ভয়াবহ কাণ্ড! এক তরুণী চিকিৎসককে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। অন্তত তিনজন পুলিশ আধিকারিক ও একাধিক হাসপাতাল স্টাফ আহত হয়েছেন বলে খবর। ৪২ বছর বয়সি এক ব্যক্তি এই কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ।

সূত্রের খবর, ওই ব্যক্তি পুলিশ হেফাজতে ছিল। কিন্তু তার শরীরে জখম থাকার জন্য় তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। সেখানেই ভোরবেলা তার চিকিৎসা চলছিল। আর তখনই এই ঘটনা।

এক নার্স জানিয়েছেন, ভোরবেলা তখন সাড়ে চারটে বাজে। তখন ওই ব্যক্তি বেডে শুয়েছিল। আর আমি তার ড্রেসিং করছিলাম। কিন্তু তখনও সে একেবারে হিংস্র হয়ে উঠেছিল এমন নয়। তবে বড্ড উলটো পালটা কথা বলছিল।

নার্স জানিয়েছেন, আমি ড্রেসিং করার সময় আচমকাই ওই ব্যক্তি বেড ছেড়ে উঠে বাইরে চলে যায়। এরপর সার্জিকাল কাঁচি নিয়ে একের পর এক আঘাত করতে থাকে। প্রথম সে পুলিশকর্মীদের উপর চড়াও হয়। তাদের মধ্যে তিনজনকে সে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। এরপর সে অন্য একটি রুমে ঢুকে পড়ে। সেখানে ডাঃ বন্দনা দাস ছিলেন। তিনি রোগী দেখছিলেন। তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে ওই ব্যক্তি। সে চিকিৎসকের মাথায়, মেরুদণ্ডে, ঘাড়ে আঘাত করে। এরপর ডাঃ বন্দনা পালানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু সে ছাড়েনি। এরপর অন্যান্য চিকিৎসকরা তাকে আটকানোর চেষ্টা করে। কিন্তু তারপরে সে তাদের দিকে তেড়ে যায়। একটা সময় সে চেয়ারে বসে পড়ে।

ওই ব্যক্তির নাম সন্দীপ। তার বাড়ি কোল্লামে। সে পেশায় স্কুল শিক্ষক। অপর একজন জানিয়েছেন সন্দীপ একের পর এক পুলিশকে কাঁচি দিয়ে আঘাত করছিল। এরপর হাসপাতালের স্টাফরা অন্যান্যদের ঘরে পুরে দেন। কিন্তু ডাঃ বন্দনা যে ওখানে আছে সেটা বুঝতে পারেনি কেউ। এদিকে সন্দীপের মাথা বার বার দেওয়ালে আঘাত খেয়েছে। তবু সে থামেনি।

ডাঃ বন্দনা আজিজিয়া মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রী ছিলেন। বর্তমানে তিনি তালুক হাসপাতালে পোস্টিং ছিলেন। সেখানেই তাঁকে নৃশংসভাবে খুন করা হল।