Manipur Violence: চারদিকে আগুন,ধোঁয়া, মৃত্যু, মণিপুরে আটকে পড়েছিলেন বাঙালি চিকিৎসক, আতঙ্কের ৭ দিন: Report

মণিপুরে ভয়াবহ হিংসার ছবি দেখেছিল গোটা বিশ্ব। আর এবার সেই মণিপুরে এক বাঙালি চিকিৎসকের আটকে পড়ার ঘটনা সামনে এল। চিকিৎসক ডাঃ আহেলি বন্দ্যোপাধ্যায়। একটি সংবাদমাধ্য়মে ওই চিকিৎসকের আটকে পড়ার খবর সম্প্রচারিত হয়েছিল। পরে সেনা ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রচেষ্টায় ওই মহিলা চিকিৎসককে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। ইম্ফলে রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সে পিজি করার জন্য আহেলি ও অন্যান্যরা এসেছিলেন। সেই মণিপুরেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার সাক্ষী হলেন তাঁরা।

ভয়াবহ ঘটনার মুখে পড়েছিলেন তিনি। গত ৩ মে তিনি হাসপাতাল থেকে ফ্ল্যাটে ফিরে আসেন। চারদিকে তখন ধোঁয়ায় ধোঁয়া। এরপর তিনি ক্যান্টিনে যাওয়ার সময় বুঝতে পারেন দাঙ্গা লেগে গিয়েছে। তবে সেই সময় বিদ্যুৎ ছিল। চারদিকে দেখা যাচ্ছে আগুন জ্বলছে। ক্রমে ফোনের নেটওয়ার্কও চলে যাচ্ছিল। সেই সময় বাড়িতে ফোন করাটাও ক্রমে সমস্যার হয়ে যাচ্ছিল। এদিকে আহত ও মৃতদের একে একে হাসপাতালে নিয়ে আসা হচ্ছিল। একেবারে ভয়াবহ পরিস্থিতি।

এদিকে সেই সময় বিদ্রোহীরা আচমকাই ঢুকে পড়েছিল হাসপাতালে।তারা মৈতেয়ী সম্প্রদায়ের কেউ আছে কি না খোঁজ করছিল। ভয়ে লুকিয়ে পড়েন হাসপাতালের স্টাফরা। কিন্তু বাড়ির সঙ্গে কিছুতেই যোগাযোগ করতে পারছিলেন না আহেলি। একেবারে আতঙ্কের প্রহর গোনেন আহেলি। এই বুঝি সব শেষ হয়ে গেল। এরপর ৭ মে অন্য় রাজ্যের বাসিন্দাদের তাঁদের রাজ্যে ফেরৎ পাঠানোর জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়।

এদিকে মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং জানিয়েছিলেন, এই মণিপুর দাঙ্গায় ৬০জন মারা গিয়েছেন। অন্তত ২৩১জন আহত হয়েছিলেন এই ঘটনায়। ১৭০০ বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। দুর্গতদের পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া এখনও চলছে। এমনটাই সূত্রের খবর।

এদিকে অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন মণিপুর সম্প্রতি মিছিল বের করেছিল। নাগা ও কুকি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা এই মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন। এদিকে মণিপুরে প্রায় ৫৩ শতাংশ মৈতেয়ীদের বাস। মনে করা হয় মণিপুরে যারাই ক্ষমতায় আসেন তারাই এই মৈতেয়ীদের দ্বারা পরিচালিত হন। বর্তমান সরকারও তাদের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে বলে অনেকে মতামত দিয়েছেন। তবে সব মিলিয়ে মণিপুরের হিংসার ঘটনাকে ঘিরে নতুন করে প্রশ্ন উঠছে উত্তর পূর্বে।