Shinde vs Thackeray: সুপ্রিম নির্দেশে ‘থাপ্প়ড়’ খেল শিন্ডেরা, দাবি ঠাকরেদের, পালটা ‘জয়ের’ দাবি BJP-র

সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ফলে কোন পক্ষের জয় হল? তা নিয়ে তরজা শুরু হল মহারাষ্ট্রে। উদ্ধব ঠাকরে শিবিরের নেত্রী তথা সাংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদীর দাবি, বৃহস্পতিবার ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ যে নির্দেশ দিয়েছে, তা আসলে একনাথ শিন্ডের সরকারের গালে সপাটে চড়। তবে একনাথ শিবির ও বিজেপির দাবি, শীর্ষ আদালত যে রায় দিয়েছে, তাতে গণতন্ত্রের জয় হয়েছে। তারইমধ্যে নৈতিকতা নিয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ও উপ-মুখ্যমন্ত্রীর দেবেন্দ্র ফড়ণবীসের মধ্যে তরজা শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, গত বছর মহারাষ্ট্রে রাজনৈতিক সংকটের সময় যখন উদ্ধবকে বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের নির্দেশ দিয়েছিলেন রাজ্যপাল বিএস কেশিয়ারি, তখন তিনি ভুল কাজ করেছিলেন। দুটি রাজনৈতিক দল বা কোনও রাজনৈতিক দলের মধ্যে সমস্যা হলে তা মেটানোর জন্য কোনও পদক্ষেপ করতে পারেন না রাজ্যপাল। সেইসঙ্গে শীর্ষ আদালত জানায়, উদ্ধবকে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সির পদে পুনর্বহাল করা যাবে না। কারণ তিনি আস্থাভোটের আগেই ইস্তফা দিয়েছিলেন।

সুপ্রিম কোর্টের সেই রায়ের পর রাজনৈতিক মহলের মতে, নিজের ‘ভুলের’ মাশুল গুনতে হচ্ছে উদ্ধবকে। তিনি যদি ইস্তফা না দিতেন, তাহলে আরও ‘ইতিবাচক’ কিছু হতে পারত। যদিও নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থেকেছেন বাল ঠাকরের ছেলে উদ্ধব। তিনি বলেন, ‘নৈতিক কারণে আমি ইস্তফা দিয়েছিলাম। যে লোকেদের সবকিছু দিয়েছিল দল, তাঁরা বিশ্বাসঘাতক হয়ে গিয়েছিলেন এবং আমায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে বলেছিলেন। আমি সেই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে চাইনি।’ 

আরও পড়ুন: Maharashtra Political Crisis: রাজ্যপাল ভুল করলেও নিজের দোষে মহারাষ্ট্রের কুর্সি ফিরে পেলেন না উদ্ধব, রায় SC-র

তারপরই মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী শিন্ডে এবং তাঁর ডেপুটি তথা বিজেপি নেতা ফড়ণবীসকে আক্রমণ শানিয়েছেন উদ্ধব। তিনি বলেন, ‘যদিও শিন্ডে এবং ফড়ণবীসের মধ্যে ছিটেফোঁটা নৈতিকতা পড়ে থাকে, তাহলে তাঁদেরও ইস্তফা দেওয়া উচিত।’ সেইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘রাজ্যপালের পদটা আদৌও প্রয়োজন কিনা, সেটা নির্ধারণের সময় এসে গিয়েছে। রাজ্যপালদের চাকর হিসেবে ব্যবহারের প্রবণতা শুরু হয়েছে এখন।’

আরও পড়ুন: সাভারকর আমাদের ভগবান, তাঁর অপমান সহ্য করব না, রাহুলকে সতর্ক করলেন উদ্ধব

পালটা উদ্ধবকে ‘নৈতিকতার’ পাঠ দিয়েছেন ফড়ণবীস। তিনি বলেন, ‘নৈতিকতা নিয়ে কথা বলার কোনও অধিকার নেই উদ্ধবের। কারণ বিজেপির সঙ্গে জোট করে নির্বাচনে জিতেছিলেন তিনি। কিন্তু তারপর কংগ্রেসের সঙ্গে চলে গিয়েছিলেন।’ সেইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটা পরিষ্কার যে (শিন্ডের) সরকার আইনি দিক থেকে বৈধ এবং সাংবিধানিক। শিন্ডের ইস্তফার কোনও প্রশ্নই ওঠে না।’

(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)