Tiger Tourism: বাংলোর বাইরে হালুম শব্দ! উত্তরবঙ্গে হবে ব্যাঘ্র পর্যটন, বাঘমামাকে নিয়ে বড় বৈঠকে বনদফতর

গা ছমছমে বনবাংলো। বাইরে টুপটাপ বৃষ্টি। অন্ধকারে বিশেষ কিছু দেখা যায় না। বেশ ঠান্ডা বাইরে। এমন সময় বাইরে শুনতে পেলেন হালুম শব্দ। এমন অভিজ্ঞতার সাক্ষী হতে চান উত্তরবঙ্গে? তবে তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও কয়েকটা বছর।

বক্সাতে বাঘ আছে কি নেই তা নিয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। তবে নানা সময় ট্র্যাপ ক্য়ামেরায় ধরা পড়েছে তাদের ছবি। এমনকী আপার নেওড়া ভ্য়ালি এলাকায় রয়াল বেঙ্গল টাইগারের ছবি ধরা পড়েছিল।গত বছরই সেই ছবি সামনে এনেছিল বনদফতর। অন্যদিকে বক্সাতে বাঘের বিচরণক্ষেত্র তৈরির ব্যাপারেও নানা সময় পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। অন্য জায়গা থেকে এনে বাঘ এনে ছাড়ার পরিকল্পনাও রয়েছে। তবে এবার উত্তরবঙ্গে সেই বাঘের উপস্থিতিকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাঘ্র পর্যটনের কথা ভাবছে বনদফতর। এবিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্য় বনপাল সৌমিত্র দাশগুপ্ত।

এদিকে সামগ্রিক বিষয়গুলি নিয়ে মঙ্গলবার থেকে বুধবার পর্যন্ত দফায় দফায় বৈঠক হয় রাজাভাতখাওয়াতো। সেখানে ন্যাশানাল কনজারভেশন কমিটির পক্ষে অতিরিক্ত ডিজি এসপি যাদব, গ্লোবাল টাইগার ফোরামের সেক্রেটারি জেনারেল রাজেশ গোপাল উপস্থিত ছিলেন।

গত ১৮ জানুয়ারি পেডং থেকে লাভার পথে গাড়ি নিয়ে যাচ্ছিলেন এক গাড়িচালক। সেই গাড়ি চালক আনমোল ছেত্রি দাবি করেছিলেন তিনি বাঘ দেখেছেন। এমনকী তার ছবিও তিনি মোবাইলে দেখিয়েছিলেন। এরপর তিস্তা দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। তবে সব দিক ঠিক ঠাক থাকলে, আরও বাঘের উপস্থিতি টের পাওয়া গেলে বা নতুন করে বাঘ এনে ছাড়া হলে, এবার উত্তরবঙ্গেও শুরু হতে পারে ব্যাঘ্র পর্যটন।

রাজ্যের মুখ্য বনপাল জানিয়েছেন, রয়াল বেঙ্গল টাইগারের বাসস্থান বা তার উপযুক্ত জায়গা তৈরির জন্য বৈঠকে যা আলোচনা হয়েছে তা যদি আমরা মেনে চলি তাহলে আগামী ৬ মাসের মধ্যে আমরা তার ফল পাব। যদি বছর খানেকের মধ্যে কাজটা সম্পন্ন করতে পারি তাহলে উত্তরবঙ্গে ব্যাঘ্র পর্যটন ও বাঘ সংক্রান্ত পদক্ষেপের আমূল বদল ঘটবে। বাংলা একটা নতুন অধ্যায় দেখতে পাবে।

এদিকে বাংলায় ব্য়াঘ্র পর্যটন বলতে সাধারণত সুন্দরবনের কথাই মাথায় আসে। সুন্দরবনের জলে জঙ্গলে স্টিমারে চেপে বাঘ দেখতে যাওয়ার মজাই আলাদা। তবে উত্তরবঙ্গের ব্যাঘ্র পর্যটনের অবশ্য জঙ্গল থাকলেও জল নেই। তবে বনবাংলো থেকে বাঘের ডাক শোনা যাবে কি না সেটার জন্য় অপেক্ষা করতে হবে আরও কয়েকটা বছর।