২০১৬ প্রাথমিক নিয়োগে অ্যাপটিটিউড টেস্টে গরমিলের দায় পরীক্ষকদের ওপরে চাপানোয় প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি গৌতম পালকে ‘দুর্নীতির পৃষ্ঠপোষক’ বললেন চাকরিপ্রার্থীদের প্রধান আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। শুক্রবার সন্ধ্যায় হিন্দুস্তান টাইমসকে একথা বলেন তিনি। বিকাশবাবু বলেন, অজ্ঞাত কারণে গৌতমবাবু এই কাজ করছেন।
এদিন বিকাশবাবু বলেন, ‘উনি যদি একথা বলে থাকেন তাহলে বলব উনিও দুর্নীতির পৃষ্ঠপোষক। বর্তমান সরকারের দুর্নীতির প্রভাব থেকে উনি নিজেকে মুক্ত করতে পারছেন না। অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়ার জন্য বিশেষজ্ঞদের নিয়োগ করে বোর্ড। তারা নম্বর দিতে দুর্নীতি করে থাকলে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ কী করে তার দায় এড়াতে পারে? মানিকবাবু সরাসরি টাকার জন্য দুর্নীতি করেছেন, গৌতমবাবু মনে হয় অন্য কিছুর জন্য করছেন’।
শুক্রবার রাজ্যের ৩৬০০০ প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, প্রাথমিকে নিয়োগপ্রক্রিয়ায় অ্যাপটিটিউড টেস্টের নামে প্রহসন হয়েছে। কোনও পরীক্ষায় হয়নি। টাকার বিনিময়ে মর্জি মতো নম্বর বসিয়েছেন পরীক্ষকরা। সেকথা আদালতের সামনে স্বীকার করেছেন বেশ কয়েকজন পরীক্ষক।
বিকেলে এক সাংবাদিক বৈঠকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য বলেন, নম্বর যখন দেওয়া হয়েছে তখন পরীক্ষা হয়েছে। আর অ্যাপটিটিউড টেস্টে কাকে কত নম্বর দেবেন সেটা পরীক্ষকের ব্যাপার। এব্যাপারে তাদের কোনও নির্দেশ দিতে পারে না বোর্ড।