Kaliaganj: কালিয়াগঞ্জে নাবালিকাকে ‘ধর্ষণ করে খুনের’ মামলায় ৩ সদস্যের SIT গঠন করল আদালত

কালিয়াগঞ্জে নাবালিকাকে ‘ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায়’ হাইকোর্টে ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। ওই ঘটনার তদন্তে ৩ সদস্যের স্পেশ্যাল ইনভেস্টিগেশন টিম গঠনের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। আদালত জানাল, রাজ্য পুলিশের তদন্ত প্রক্রিয়া যে ভাবে এগিয়েছে তাতে আস্থা নেই তাদের। তাই আদালতের নজরদারিতে চলবে তদন্ত। ২৮ মে মধ্যে সিটকে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।

এদিন বিচারপতি মান্থা নির্দেশ দিয়েছেন, প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন বিশ্বাস, রাজ্য পুলিশের প্রাক্তন আইজি পঙ্কজ দত্ত ও আইপিএস আধিকারিক দময়ন্তী সেন এই ঘটনার তদন্ত করবেন। সঙ্গে আদালত জানিয়েছে, সিটের সদস্যরা যৌথভাবে ঠিক করবেন নাবালিকার দেহের দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত প্রয়োজন আছে কি না। প্রয়োজন মনে করলে দেহের ফের ময়নাতদন্ত করাতে পারবেন তাঁরা। রাজ্য পুলিশকে তাঁদের সব রকম সাহায্য করতে হবে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি। সঙ্গে জানিয়েছেন, সিটের সদস্যরা তদন্ত চলাকালীন প্রকাশ্যে তাঁদের মত জানাতে পারবেন না। তিনি বলেন, সত্য সামনে আসা দরকার।

এদিন সিটে পঙ্কজ দত্তের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে আপত্তি জানায় রাজ্য। তবে আদালত তা গ্রাহ্য করেনি। বিচারপতি বলেন, তিন সদস্যের দল যৌথভাবে সিদ্ধান্ত নেবে। ফলে একজনের সিদ্ধান্তের প্রভাব সর্বোপরি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

এদিন আদালতে এই ঘটনার রিপোর্ট জমা দেয় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। সেই রিপোর্ট সিটের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি। রাজ্য মহিলা কমিশনকেও সিটের সামনে রিপোর্ট পেশ করতে নির্দেশ দেন তিনি।

এদিন আদালতে মৃতের পরিবার পুলিশি তদন্তে বড়সড় গাফিলতি তুলে ধরে। তারা জানায়, পুলিশের নথি বলছে নাবালিকার দেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে ২৩ মে বিকেল ৩টে ৩০ মিনিটে অথচ সেই দেহের সুরতহাল হয়েছে ৫টা ৪০ মিনিটে। কী করে ময়নাতদন্তের পর দেহের সুরতহাল হতে পারে। আর হয়ে থাকলেও তার প্রাসঙ্গিকতা কী? এদিন পুলিশকে নাবালিকার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলেছে আদালত।