Primary Scam: নম্বর দেওয়া হয়েছে মানে অ্যাপটিটিউড টেস্ট হয়েছে, আজব যুক্তি গৌতম পালের

শুক্রবারই প্রাথমিকের ৩৬,০০০ শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পর্যবেক্ষণে জানিয়েছেন, ২০১৬-র প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া অ্যাপটিটিউড টেস্টের নামে কার্যত প্রহসন হয়েছে। যারা অ্যাপটিটিউড টেস্ট নিয়েছিলেন তারাই সেকথা তাঁকে জানিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন অভিজিৎবাবু। যদিও বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে অ্যাপটিটিউড টেস্টে গরমিলের দায় যারা পরীক্ষা নিয়েছেন তাদের ওপরেই ঠেললেন পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল।

এদিন গৌতমবাবু বলেন, ‘আদালতকে আমরা হলফনামা দিয়ে জানিয়েছি, রেকর্ড মোতাবেক প্রত্যেক এক্সপার্ট প্রত্যেক প্রার্থীর অ্যাপটিটিউড টেস্ট নিয়েছিলেন। ইন্টারভিউ নিয়েছিলেন। তারা প্রত্যেকেই মার্কস দিয়েছেন। মার্সক যখন দেওয়া হয়েছে তার থেকে প্রমাণিত যে তাদের অ্যাপটিটিউড টেস্ট হয়েছে। কে বেশি পেয়েছে, কে কম পেয়েছে সেটা আমার দেখার কথা নয়। এই দায়িত্ব সম্পূর্ণরূপে যে বিশেষজ্ঞ পরীক্ষাটি নিয়েছেন তাঁর। একজন বিশেষজ্ঞ একজন প্রার্থীকে অ্যাপটিটিউট টেস্টে কত নম্বর দেবে তা পর্ষদ বলে দিতে পারে না’।

তিনি বলেন, ‘তারা যখন চাকরি পেয়েছেন, তারা যোগ্যতামান প্রমাণ করেছেন। ২০১৬ সালের যে নিয়োগবিধি সমস্তটা অনুসরণ করেছেন। অর্থাৎ যারা চাকরি পেয়েছেন তাদের যোগ্যতা নেই এটা বলা যেতে পারে না’।

প্রশিক্ষিতদের অনেকের চাকরি না পাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘নিয়োগবিধিতে অনেক মাপকাঠি থাকে। মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, প্রশিক্ষণের জন্য নম্বর থাকে। অ্যাপটিটিউড টেস্টের মার্কস থাকে। ইন্টারভিউ মার্কস থাকে। কোনও একটা নির্দিষ্ট মাপকাঠিতে কেউ সর্বোচ্ছ নম্বর পেলেও তিনি চাকরি না-ও পেতে পারেন। সমস্ত মাপকাঠি মিলিয়ে যার নাম মেধাতালিকায় থাকবে তিনি চাকরি পাবেন’।