এবার আসতে চলেছে মাছের টিকা, আজ পরীক্ষামূলক প্রয়োগ হল নন্দীগ্রামে

২০২২ সালে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ হয়েছিল। তারপর ২০২৩ সালে শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে মাছের টিকা। আবিষ্কার ‘‌মাছের ভ্যাকসিন’‌। এই টিকার নাম ‘‌সিফা–ব্রুড–ভ্যাক’‌। আজ, ১৫ মে নন্দীগ্রাম ১ ব্লক মৎস্য বিভাগের উদ্যোগে একটি বিশেষ সভার আয়োজন করা হয়। যেখানে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন ‘সিফা–ব্রুড–ভ্যাক’ টিকার আবিষ্কর্তা মৎস্য বিজ্ঞানী ড.‌ মৃনাল সামন্ত। তখনই ঠিক হয় প্রজননক্ষম মাছের টিকাকরণ নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের দুটি মাছের হ্যাচারিতে প্রয়োগ করা হবে। তার জেরে উৎপাদিত হবে নিরোগ স্বাস্থ্যকর মাছ।

এদিকে ২০২২ সালের অগস্ট মাসে এগরা–১ ব্লকে প্রথম পরীক্ষামূলক টিকাকরণ করা হয়েছিল। চলতি বছর নন্দীগ্রাম ১, এগরা ১–সহ বেশ কিছু জেলার ব্লকে নির্বাচিত মাছের হ্যাচারিতে অন্তিম পরীক্ষার পর আনুষ্ঠানিকভাবে আসবে মাছের টিকা। এই বিষয়ে নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের মৎস্যচাষ সম্প্রসারণ আধিকারিক সুমন কুমার সাহু বলেন, ‘‌বিশেষত নিরোগ স্বাস্থ্যকর বেশি মাছের উৎপাদনের জন্য প্রজননক্ষম স্ত্রী এবং পুরুষ মাছের টিকাকরণ।’‌ আজ, সোমবার নন্দীগ্রাম–১ ব্লক মৎস্য বিভাগের কার্যালয় থেকে মাছের হ্যাচারি শংকর দাস ও হরিপদ দাস মাছের টিকার ভায়াল তুলে দেন পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ মৌসুমি পানি।

অন্যদিকে জলবায়ুর পরিবর্তনের জেরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও কম বৃষ্টিপাতের ফলে হ্যাচারিতে মাছের প্রজনন ও পোনা উৎপাদন বাধা পাচ্ছে। প্রজননের অনুকূল পরিবেশ না পাওয়া ও তাপমাত্রা বেশি থাকার কারণে হ্যাচারিতে মাছ কৃত্রিম প্রজননে সাড়া দিচ্ছে না। পেটে ডিম আসলেও ডিম ছাড়ছে না। মাছ সহজে রোগে আক্রান্ত হচ্ছে এবং মৃত্যুর হার বাড়ছে। তার জেরে উৎপাদন কমে যাচ্ছে ও চাষিদের আয় কমে যাচ্ছে। এই সমস্যার সমাধানে মৎস্য বিজ্ঞানীরা তৈরি করেছেন অভিনব মাছের ভ্যাকসিন। নাম দেওয়া হয়েছে ‘‌সিফা–ব্রুড–ভ্যাক’‌।

ঠিক কী বলছেন মৎস্য বিজ্ঞানী? এই বিষয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে।‌ ভার্চুয়াল বৈঠকে ‘সিফা–ব্রুড–ভ্যাক’ টিকার আবিষ্কর্তা মৎস্য বিজ্ঞানী ড.‌মৃনাল সামন্ত বলেন, ‘‌এই টিকা প্রজননক্ষম স্ত্রী এবং পুরুষ মাছকে প্রয়োগ করলে মাছের ডিমের থেকে যে ডিমপোনা ও ধানীপোনা হয় তার বাঁচার হার বেশি। ব্রড স্পেকট্রামে রোগ হয় না। ফলে স্বাস্থ্যকর মাছের ফলন বেশি হবে।’‌ মাছের হ্যাচারির মালিক শংকর দাস বলেন, ‘‌মাছের টিকার ভ্যায়াল বিনামূল্যে পেয়ে আমি খুব খুশি।’‌