Mamata Banerjee: ঝড়বৃষ্টিতে ৯ জনের প্রাণহানি, পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য ঘোষণা মমতার

সোমবার ঝড়-বৃষ্টির জেরে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ন’জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি তিনি মৃতদের পরিবার পিছু দু’লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করেছেন তিনি।

ঘূর্ণিঝড় মোকার প্রভাব বাংলার কোথাও না পড়লেও তার প্রায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রবল ঝড়-বৃষ্টি হয় রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়। ঘণ্টায় ৮৪ কিমি বেগে ঝড় বয় কলকাতায়। বিভিন্ন জায়গায় ভেঙে পড়ে গাছ। এই ঝড়ে সোমবার ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।

বিগার্ডেন থানা এলাকায় এক পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ে। খুশবু যাদব নামে ওই পড়ুয়া সেই সময় টিউশন সেরে বাড়ি ফিরছিল। এছাড়া উলুবেড়িয়া থানার বহিরা কুলপাড়া এলাকায় মাটির বাড়ি ভেঙে মারা যান এক ব্যক্তি। বাগনান থানার উত্তর চককমলা গ্রামে খেজুর গাছ ভেঙে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। রানাঘাটের যুবক কৌশিক ঢালি নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি বারাকপুরের মঙ্গলপান্ডে পার্কে বান্ধবীর সঙ্গে বেড়াতে এসেছিলেন তিনি। এছাড়া অন্যান্য জেলায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠকে মৃত ব্যক্তির পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে, দু’লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। (পড়তে পারেন। কোচবিহারের পর এবার মালদা থেকে কলকাতা পর্যন্ত শুরু হতে পারে বিমান পরিষেবা)

ঝড়ের পর বিদ্যুৎ দফতর থেকে জানানো হয়েছে, বিভিন্ন জেলায় প্রচুর বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়েছে। ট্রান্সফরমারের ক্ষতি হয়েছে। মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের নেতৃত্বে একটি কন্ট্রোল খোলা হয়েছে পরিষেবা সচল করতে। (পড়তে পারেন। কোচবিহারের পর এবার মালদা থেকে কলকাতা পর্যন্ত শুরু হতে পারে বিমান পরিষেবা)

হাওয়া অফিস জানিয়েছে, পুরো সপ্তাহে জুড়ে এই ঝড়-বৃষ্টি চলবে। বৃহস্পতিবার বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টিও হতে পারে। সোমবার বিকেলে আচমকাই আকাশ কালো হয়ে যায়। শুরু হয় তুমুল ঝড়বৃষ্টি। কলকাতার আলিপুরে একসময়ে সেই ঝড়ের গতি পৌঁছে গিয়েছিল ৮৪ কিমি প্রতি ঘণ্টায়। গাছ, বাতিস্তম্ভ উপড়ে পড়ে যায় মাটিতে। রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। তবে এই ঝড়ের উৎস কোথায়? বিস্তারিত পডু়ন।