দেশে গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার কবে ছিল, প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

গণতন্ত্র নিয়ে, ভোটের অধিকার নিয়ে অনেকে কথা বলে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে গণতন্ত্র, ভোটের অধিকার কবে ছিল? ৭৫-এর পর থেকে যেভাবে ভোটচুরি, ভোট কারচুপি, ভোট নিয়ে খেলা, মানুষের ভাগ্য নিয়ে খেলা…। বরং আওয়ামী লীগের নানা পদক্ষেপে আজ বিভিন্ন সংস্কার করে নির্বাচন পদ্ধতি গণমুখী করা, জনগণের ভোট সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করা হয়েছে।

বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ভোটচোর যারা ছিল, ভোট ডাকাত যারা ছিল, তারাই এখন গণতন্ত্র চায়, ভোটের অধিকারের কথা বলে। যাদের জন্মই হয়েছে অবৈধভাবে, তাদের কাছে এ সমস্ত কথা শুনতে হয়। এগুলো মাঠের কথা মাঠে থাকবে। আমরা জনতার সঙ্গে থাকবো, জনতার পাশে থাকবো।

বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বুধবার (১৭ মে) গণভবনে তাকে শুভেচ্ছা জানাতে যান আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এসময় তাদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

‘আমার ভোট আমি দেবো, যাকে খুশি তাকে দেবো’—এই স্লোগানের কথা স্মরণ কারিয়ে দিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, মানুষকে ভোট সম্পর্কে সচেতন তো আওয়ামী লীগই করেছে। এটা তো আর কেউ করেনি। তারপর নির্বাচন কমিশন করার জন্য আইন করে দেওয়া হয়েছে। ভুয়া ভোট দিয়ে ভোটার তালিকা হতো। এখন ছবিসহ ভোটার তালিকা, আইডি কার্ড, নির্বাচনি পদ্ধতিকে যতটুকু সংস্কার করা বা মানুষের আস্থা-বিশ্বাস অর্জন এগুলো তো আওয়ামী লীগই করে দিয়েছে। স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স সবই করে দিয়েছি আমরা। তারপরও কেউ আমাদের সবক দিতে আসে, গণতন্ত্রের, নির্বাচনের সবক দিতে আসে।

জনগণের আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করে ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় যাওয়ার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, জনগণের আস্থাই আওয়ামী লীগের একমাত্র শক্তি। আর কোনও শক্তি নাই। বাংলাদেশের জনগণই আওয়ামী লীগের একমাত্র বন্ধু।

গণভবনে এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা। তারা দলীয় প্রধানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এছাড়া আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ-সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতারা তাদের নেত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।