নবান্নে আবার সারপ্রাইজ ভিজিট মুখ্যমন্ত্রীর, কোন তথ্য জানতে পরিদর্শন মমতার?

আজ, বুধবার নবান্নে পৌঁছেই সারপ্রাইজ ভিজিটে বেরিয়ে পড়লেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৪ তলায় নিজের দফতরে না গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্যান্য দফতরে হাজির হন। সেটা ছ’তলায় ভূমি ও ভূমিসংস্কার দফতর থেকে শুরু করে নবান্নের ১২ তলায় রাজ্যের অর্থ এবং বাজেট দফতরেও উপস্থিত হন মুখ্যমন্ত্রী। আর তাঁকে দেখে অনেকে চমকে যান। সত্যিই মুখ্যমন্ত্রীকে দেখছেন তো!‌ সম্বিৎ ফেরে যখন তাঁর গলা শুনতে পান।

এদিকে বিভিন্ন দফতরের কর্মীদের উপস্থিতির হার জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী। এমনকী যে সব দফতরে তিনি গেলেন সেখানের সচিবদের কাছে কাজের পরিস্থিতি ও গতি সম্পর্কে সরেজমিনে খোঁজ নেন। তারপর আবার পায়ের গতি বাড়িয়ে আর এক দফতরে চলে যান। এই কর্মকাণ্ডে গোটা নবান্নে থরহরিকম্প অবস্থা তৈরি হয়। তবে বহু কর্মী নিজের চোখে মুখ্যমন্ত্রীকে দেখে খুশিও হন। সম্প্রতি হঠাৎ স্বরাষ্ট্রদফতর ও পার্বত্য বিষয়ক দফতরে হাজির হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন কর্মীদের উপস্থিতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। তবে হঠাৎ এই সারপ্রাইজ ভিজিট কেন?‌ সেটা জানা যায়নি। এদিন দেখা যায় সেখানে গিয়ে অফিসার এবং কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলছেন মুখ্যমন্ত্রী।

অন্যদিকে দফতরের কাজকর্ম খতিয়ে দেখতে হাজির হন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে কর্মীদের হাজিরা কত?‌ সচিবের কাছে জানতে চান। সংশ্লিষ্ট দফতরে কাজের গতি কেমন? তা‌ নিয়েও প্রশ্ন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে শুধু কাজের কথাই নয়, কর্মীদের পরিবার–পরিজনরা সুস্থ আছেন কিনা, তাঁদের ছেলেমেয়ে কেমন আছেন?‌ সেসবও জিজ্ঞাসা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে অফিসাররা এবং সচিব চাপে পড়ে গেলেও সরকারি কর্মচারীরা মুখ্যমন্ত্রীকে পাশে পেয়ে আলাদাভাবে কথা বলেন।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ দু’দিন আগে নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক থেকে সিপিএম প্রভাবিত কর্মচারী সংগঠনকে তুলোধনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‌কো–অর্ডিনেশন কমিটির লোকেরা বিভিন্ন দফতরে বসে থাকে। আর তাঁরাই সরকারের কাজে বাগড়া দেয়।’‌ তাই এমন সারপ্রাইজ ভিজিট কিনা বোঝা যাচ্ছে না। অন্যান্য দফতর ঘুরে এরপর লিফটে করে ১২ তলায় চলে যান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে রয়েছে অর্থদফতর। এই দফতরের সচিব মনোজ পন্থের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী এবং অনেক তথ্য জানতে চান। আজ, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গী ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদী।