বড় ভাঙন বিরোধী শিবিরে, সিপিএম–বিজেপি ছেড়ে কর্মীরা তৃণমূলে যোগ বসিরহাটে

পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে বড় ধাক্কা খেল বিরোধীরা। শেষ ধাক্কা খেয়েছিল তাঁরা সমবায় নির্বাচনে। দু’‌একটা জায়গায় জিতলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হেরেছিল। এবার এই পরিস্থিতিতে শাসকদলে যোগ দিলেন ১০০ জন নেতা–কর্মী। আর তাতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কারণ পঞ্চায়েত নির্বাচনে জোর লড়াই দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছিল সিপিএম। আর বিজেপি বছর ঘুরলে লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করেছে। সেখানে তাদের দলে এমন ভাঙন ধরে যাওয়ায় কপালে ভাঁজ পড়েছে।

এদিন সুন্দরবনে সিপিএম–বিজেপি ছেড়ে তাদের শতাধিক কর্মীরা যোগদান করলেন তৃণমূল কংগ্রেসে। বিরোধীরা এখন তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেন। দুর্নীতি থেকে হিংসা নানা অভিযোগ তুলে সোচ্চার হন বিরোধী নেতারা। সেখানে আজ বিরোধীদের ঘরেই ভাঙন বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। বিশেষ করে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে এমন ভাঙন তাদের ভাবিয়ে তুলেছে। এখন প্রত্যেক জেলায় ‘তৃণমূলে নব জোয়ার’ কর্মসূচি চলছে। নানা জায়গায় যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কর্মীদের উজ্জ্বীবিত করছেন তিনি। এমন অবস্থায় বিরোধী দল ছেড়ে শাসকদলে যোগদানে তৃণমূলের ঘাঁটি আরও শক্ত হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

ঠিক কী ঘটেছে বসিরহাটে?‌ স্থানীয় সূত্রে খবর, বসিরহাট মহকুমার হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের কালীতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি নেতা, সিপিএম নেতা–কর্মী–সমর্থক সহ প্রায় ১০০ জন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন। হিঙ্গলগঞ্জের দেবেশ মণ্ডলের একটি পথসভা চলছিল কালীতলা অঞ্চলে। তখন বিজেপি–সিপিএম মিছিল করে তৃণমূল কংগ্রেসের পথসভা এসে যোগদান করেন। তাদের দলীয় পতাকা তুলে দেন বিধায়ক দেবেশ মণ্ডল। উন্নয়ন নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত যে ৩৭টি প্রকল্প আছে, যেভাবে উন্নয়ন হচ্ছে তার সুবিধা পেতেই তারা দল ত্যাগ করলেন বলে খবর।

ঠিক কী বলছেন যোগদানকারীরা?‌ এই বিষয়ে কালিতলা অঞ্চলের ২৬৯ নম্বর বুথের বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় গায়েন বলেন, ‘‌গ্রামবাংলায় সিপিএম–বিজেপির কোনও অস্তিত্ব নেই। সব মুছে যাওয়ার পথে। তাই আমরা আজ উন্নয়নের শরিক হতে দলত্যাগ করলাম।’‌ আর হিঙ্গলগঞ্জের বিধায়ক দেবেশ মণ্ডল বলেন, ‘‌মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের শরিক হতে ওনারা দলে দলে সামিল হচ্ছেন। এই সরকার গরিব মানুষের জন্য উন্নয়নমুখী প্রকল্প করেছে। তাই তারা আজকে বিজেপি–সিপিএম থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন। যে বুথ থেকে তৃণমূলে যোগদান করলেন নেতা–কর্মীরা সেই বুথে তারাই নেতৃত্ব দেবেন এবং গ্রামের মানুষকে পরিষেবা দেবেন।’‌