ADR report: ২০২১-২২ সালে আঞ্চলিক দলগুলির কাছে ‘অজানা সূত্র’ থেকে এসেছে আয়ের অঙ্ক কত কোটি ছুঁয়েছে? সামনে এল রিপোর্ট

এই পরিসংখ্যান ২০২১- ২২ সালের নিরিখে। সেই সময়কালে দেশের আঞ্চলিক দলগুলি কোনও অজানা সূত্র থেকে মোট ৮৮৭.৫৫ কোটি টাকা পেয়েছে। যা তাদের মোট রোজগারের ৭৬ শতাংশ। এই পরিসংখ্যান পেশ করেছে অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্ম। 

যে পরিসংখ্যান এডিআর বা অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্ম-এর তরফে উঠে এসেছে, তার ভিত্তিতে বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, ২০২০-২১ সালে আঞ্চলিক দলগুলির মোট আয় ৫৩০. ৭০ কোটি টাকা ছিল। তার মধ্যে ২৬৩.৯৩ কোটি টাকা বা ৪৯.৭৩ শতাংশ টাকা অজানা সূত্র থেকে এসেছে। রিপোর্ট বলছে, ২০ হাজার টাকার বেশি অনুদান যে সূত্র থেকে এসেছে, তাদের তথ্য রাজনৈতিক দলগুলিকে দেশের নির্বাচন কমিশনের কাছে জানাতে হয়। ফলে সেই সূত্রগুলি জানা থাকে কমিশনের। ফলে ‘অজানা সূত্র’ হল এমন কিছু জায়গা, যার সম্পর্কে কোনও ধারণা দেওয়া হয়নি পার্টির তরফে। তেমনই কোনও সূত্র থেকে এই বিপুল পরিমাণ টাকার অঙ্ক আঞ্চলিক পার্টিগুলি পেয়েছে বলে এডিআরের রিপোর্ট বলছে। 

( মাঝ আকাশে ঝঞ্ঝার মাঝে পড়ল এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান, আহত বহু যাত্রী)

( কাকাতুয়ার ঝাঁকের এই ব্রেন টিজারের ফাঁদ থেকে ঘুঘু খুঁজে বের করতে হবে! পারবেন?)

বর্তমানে যে নিয়ম চালু রয়েছে, তাতে কোনও রাজনৈতিক দলকে ২০ হাজার টাকার নিচে কেউ চাঁদা ইলেক্টোরাল বন্ডের মাধ্যমে দিলে তাঁর নাম জানাতে হয় না নির্বাচন কমিশনকে। এই টাকা কোনও ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের তরফে আসতে পারে। উল্লেখ্য, এডিআর-এর রিপোর্ট বলছে, এই ‘অজানা সূত্র’ গুলি ইলেক্টোরাল বন্ড, কুপন বিক্রি করে, ত্রাণের তহবিল থেকে, বিভিন্ন ধরনের আয় ও স্বেচ্ছা অনুদান থেকে আসে। কোনও মতেই এই স্বেচ্ছা অনুদানের তথ্য জনতার কাছে আসে না। যে ৮৮৭ কোটি টাকার কথা বলা হয়েছে এডিআরের রিপোর্টে তারমদ্যে ৯৩.২৬ শতাংশ টাকাই এসেছে ইলেক্টোরাল বন্ড থেকে। ফলে ওই অঙ্কের মধ্যে ৮২৭.৭৬ কোটি টাকা এসেছে ইলেক্টোরাল বন্ড থেকে। বলা হচ্ছে কুপন বিক্রি করে ৪.৩২ শতাংশ টাকা পেয়েছে, স্বেচ্ছা অনুদান থেকে এসেছে ২.৪০ শতাংশ আয়, যা অজানা সূত্র মারফৎ এসেছে দেশের ২৭ টি আঞ্চলিক দলের কাছে। 

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup