অবশেষে গ্রেফতার ভানু বাগ, এগরা বিস্ফোরণ কাণ্ডের চাঁই পাকড়াও কটকে

‌এগরা বিস্ফোরণ কাণ্ডের দু’‌দিনের মধ্যেই কিনারা করল পুলিশ। অভিযুক্ত কৃষ্ণপদ বাগ ওরফে ভানুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই বিস্ফোরণ নিয়ে যখন রাজ্য–রাজনীতি তোলপাড় তখন ভানুকে গ্রেফতার করে বড় সাফল্য পেল পুলিশ। একইসঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর ছেলেকেও। গত মঙ্গলবার এগরার খাদিকুল গ্রামে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে ৮ জনের মৃত্যু হয়। বেআইনি ওই কারখানার মালিক কৃষ্ণপদ বাগ ওরফে ভানু। বিস্ফোরণের পরই এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয় সে। রাজ্যের সীমানা পেরিয়ে তিনি ওড়িশায় গা–ঢাকা দিয়েছিল।

আজ, বৃহস্পতিবার ওড়িশা থেকে গ্রেফতার করা হয় ভানু বাগ ও তার ছেলেকে। যদিও তাঁর স্ত্রীর বিষয়ে এখনও কোনও খবর মেলেনি। কটকের হাসপাতাল থেকে গ্রেফতার ভানু বাগ ও তার ছেলেকে। গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁর ছেলে পৃথ্বীজিৎ বাগ এবং ভাইপোকে। এগরার বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হয়েছিল ভানু। তাই পালিয়ে ওড়িশায় এসে চিকিৎসা করাচ্ছিল অভিযুক্ত। ওড়িশা যায় সিআইডি’‌র বিশেষ দল। আর তারপরই ধরা পড়ে গেল ভানু। ওড়িশা পুলিশের নজরদারিতে এখন সেখানে রয়েছেন ভানু। সুস্থ হলেই ট্রানজিট রিমান্ডে ভানুকে বাংলায় আনা হবে বলে সূত্রের খবর। তখন শুরু হবে বিচার।

এদিকে বাজির বেআইনি কারবার নিয়ে বনিবনা ছিল ভানু ও তার ছেলের মধ্যে। ছেলে আলাদা বাড়ি করে কীটনাশকের ব্যবসা করছিল। কিন্তু এই বিস্ফোরণের খবর পেয়ে এবং বাবার গুরুতর আহত জানতে পেরেই ওড়িশা যায় এবং ভানুর সঙ্গে দেখা করে। ভানু বিস্ফোরণের পরেই এলাকা ছেড়ে ওড়িশার দিকে পালিয়েছিল। খাদিকুল গ্রামটি ওড়িশা সীমান্ত সংলগ্ন হওয়ায় পালাতে সুবিধা হয়েছিল। মঙ্গলবার থেকেই ভানুর তল্লাশিতে নামেন সিআইডি অফিসাররা। ওড়িশায় পাঠানো হয় বিশেষ দল। আর চারজনকে আটক করে ভানু সম্পর্কে চলে জিজ্ঞাসাবাদ।

অন্যদিকে সেই সূত্র ধরেই এগোতেই মিলল সাফল্য। ওড়িশা এবং সংলগ্ন এলাকায় হাসপাতাল থেকে শুরু করে ছোট স্বাস্থ্যকেন্দ্র—সর্বত্র তল্লাশি চালাতে থাকে পুলিশ। আহত অবস্থায় কাউকে দেখা গিয়েছে কি না জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। ভানুর ছবিও দেখানো হয়। তবে রীতিমতো পেশাদারি কায়দায় সপরিবারে গা–ঢাকা দিয়েছিল ভানু বাগ। এমনকী ধরা পড়ার আশঙ্কায় বন্ধ করে দেয় মোবাইল ফোন। অবশেষে সূত্র মারফত খবর পেয়েই হাসপাতাল থেকে গ্রেফতার করা হয় ভানু বাগকে।