‘‌কী করছে আমাদের ইনটেলিজেন্স?’‌ এবার এগরা কাণ্ড নিয়ে পুলিশকে দুষলেন মদন

এগরা বিস্ফোরণ কাণ্ড নিয়ে এখন তোলপাড় রাজ্য–রাজনীতি। এই বিস্ফোরণে বহু মানুষের প্রাণ গিয়েছে। রাজ্য সরকারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হয়েছে। তবে আজ, বৃহস্পতিবার কটক থেকে বিস্ফোরণের মূল চাঁই কৃষ্ণপদ বাগ ওরফে ভানুকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি এবং পুলিশ। তার পরও এই পুলিশের বিরুদ্ধেই মুখ খুললেন তৃণমূল কংগ্রেসের কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। তাঁর অভিযোগ, ‘‌পুলিশ বেইমানি করেছে। না হলে এরকম হয়।’‌ এগরার বিস্ফোরণ নিয়ে এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য় করলেন বিধায়ক মদন মিত্র। গোটা ঘটনাকে অন্তর্ঘাত বলেই দাবি করেছেন তিনি।

ঠিক কী বলেছেন মদন?‌ এদিকে এগরা বিস্ফোরণ কাণ্ড নিয়ে যখন তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে পুলিশকেও একসারিতে দাঁড় করিয়ে বিঁধছে বিজেপি, তখন শাসকদলের বিধায়ক হয়ে এমন মন্তব্য সেমসাইড গোল বলে মনে করা হচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মদন মিত্র বলেন, ‘‌পুলিশের একাংশ যদি চুকলি না করে, যদি বেইমানি না করে, তাহলে কোনও গণতান্ত্রিক সরকারের এমনটা হতে পারে না। কী করছে আমাদের ইনটেলিজেন্স? পুলিশের একাংশ বেইমানি না করলে এমনটা হতে পারে না। তৃণমূল নেতাদের দেখলে ওদের মুখ এখন বেঁকে যাচ্ছে। পুলিশের বডি ল্য়াঙ্গোয়েজ বদলে যাচ্ছে।’‌

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ অন্যদিকে ভানু ও তার গোটা পরিবারকে ওড়িশার কটক থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সিআইডি তদন্ত করছে। আইসি–কে শোকজ করা হয়েছে। তাছাড়া একদিন আগেই দু’‌জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সেখানে এগরা বিস্ফোরণ কাণ্ড নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের পুলিশের বিরুদ্ধে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন বিধায়ক মদন মিত্র। এখানেই তিনি না থেমে বলেন, ‘‌পুলিশের যদি একাংশের সাপোর্ট না থাকে, তবে এমন কোনও ঘটনা ঘটতে পারে না। ঘটনা ঘটানোর আগেই পুলিশ রিপোর্ট নিয়ে অ্য়ারেস্ট করতে পারে।’‌

আর কে, কি বলছেন?‌ ইতিমধ্যেই পুলিশের শীর্ষকর্তা জ্ঞানবন্ত সিংকে সেখানে পাঠানো হয়েছে। আর মদন মিত্র পুলিশের বিরুদ্ধেই মুখ খুলছেন। এই বিষয়ে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‌বিজেপি পুলিশের অ্য়াজেন্ডা তৈরি করে দিচ্ছে? উনি তো মমতার ডিপার্টমেন্টের বিরুদ্ধে কথা বলছেন। তার উত্তর মমতাই দিতে পারবেন।’‌ পাল্টা মদন মিত্র বলেন, ‘‌বলছে ওর লাইসেন্স নেই। লাইসেন্স ছা়ড়া বাজি কারখানা চলে কী করে? তার উত্তর আমি দেব না শুভেন্দু দেবে? ২০০৫ থেকে গোটা মেদিনীপুর শুভেন্দু–শিশির দেখছে।’‌ অর্থাৎ এই ঘটনার পিছনে শুভেন্দুর হাত থাকতে পারে বলেই ইঙ্গিত দিচ্ছেন কামারহাটির বিধায়ক।