‘লড়াকু’ ববিতা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ের বিরুদ্ধে এ বার ডিভিশন বেঞ্চে

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হলেন চাকরিহারা ববিতা সরকার। আদালতের নির্দেশেই মঙ্গলবারই চাকরি হারিয়েছেন শিলিগুড়ির বাসিন্দা ববিতা। তাঁর চাকরি দেওয়া হয়েছে অনামিকা রায় নামে শিলিগুডি়রই বাসিন্দা এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হলেন ববিতা।

এই মামলা নিয়ে তাঁর আইনজীবী ফিরদৌস শামিম হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তাঁরা মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন।

রাজ্যের প্রাক্তন আইনমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর নিয়ম-বহির্ভূত ভাবে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হন ববিতা সরকার। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে স্কুল শিক্ষিকার চাকরি হারান অঙ্কিতা। তাঁর কর্মরত অবস্থায় পাওয়া মাইনের সমস্ত টাকা ববিতাকে দিতে বলে আদালত। আদালতের নির্দেশে স্কুলে চাকরি হয় ববিতার। আদালতে সেই জয়ের পর ‘লড়াকু’ হিসাবে তাঁর পরিচিতি হয়। দুর্গাপুজোর সময় বেশ কিছু পুজোর উদ্বোধন করেন তিনি। 

(পড়তে পারেন। এগরা কাণ্ডে CID তদন্ত করলেও রিপোর্ট পাঠাতে হবে NIA-কে, নির্দেশ হাইকোর্টের)

এর মধ্যে ববিতার চাকরি বাতিলের দাবি করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শিলিগুড়ির বাসিন্দা অনামিকা সাহা। তাঁর অভিযোগ, চাকরির আবেদন করার সময় ববিতার স্নাতক স্তরের শতকরা নম্বর বাড়িয়ে দেখানো হয়, যার ফলে তাঁর ‘অ্যাকাডেমিক স্কোর’ বেড়ে যায়। মামলা শুনে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় রায় দেন, ববিতার চাকরি অনামিকাকে দিতে। আদালতে নির্দেশে চাকরি হারান ববিতা। অঙ্কিতার থেকে পাওয়া সমস্ত টাকা অনামিকাকে দিতে নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তবে আদালতের নির্দেশ মেনে স্কুলে যে কদিন কাজ করেছিলেন ববিতা, তার টাকা তাঁকে ফেরত দিতে হবে না।

তবে লড়াই জারি রাখেছেন ববিতা। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এই রায়ের বিরুদ্ধে এ বার ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হলেন তিনি।

(পড়তে পারেন। এত ছিন্নভিন্ন দেহ! এগরার ছবি দেখে উদ্বিগ্ন প্রধান বিচারপতি, CID তদন্তেরই নির্দেশ)