Extradition of 26/11 attack accused: ২৬/১১ হামলায় যুক্ত পাক বংশোদ্ভূত চক্রীকে ভারতে পাঠানোর পক্ষে রায় মার্কিন আদালতের

২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর পাক জঙ্গিদের হামলায় রক্তস্নাত হয়েছিল বাণিজ্যনগরী মুম্বই। সেই হামলায় যুক্ত পাক বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান ব্যবসায়ী তওহুর রানাকে এবার ভারতে নিয়ে আসা হতে পারে। জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত থাকা তওহুরের ভারতে প্রত্যর্পণের পক্ষে রায় দিয়েছে মার্কিন আদালত। এর আগে ২০২০ সালের ১০ জুন তওহুর রানাকে গ্রেফতার করতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছিল ভারত সরকার। মুম্বইয়ের ওপর সেই বিভীষিকাময় হামলার এত বছর পর তাকে ভারতে নিয়ে আসতে চেয়েছিল মোদী সরকার। ভারতের সেই আবেদনে সায় দিয়েছিল বাইডেন প্রশাসন।

বাইডেন প্রশাসন তওহুর রানার প্রত্যর্পণের নির্দেশ দিলে মামলাটি গড়ায় আদালতে। ক্যালিফোর্নিয়ার মার্কিন সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্ট আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট জ্যাকলিন চুলজিয়ান গতকাল ৪৮ পাতার রায়ে তওহুরকে ভারতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। নিজের রায়তে বিচারক বলেন, ‘আবেদনের পক্ষে এবং বিরোধিতায় যেসকল নথি জমা দেওয়া হয়ে, সে সমস্তই পর্যালোচনা এবং বিবেচনা করেছে এই আদালত। মামলার শুনানি চলাকালীন যেসব যুক্তি উপস্থাপিত করা হয়েছে, তাও খতিয়ে দেখা হয়েছে। এই সব বিবেচনা করে তহহুর রানাকে ভারতে পাঠানোর পক্ষে রায় দিচ্ছে আদালত। মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট প্রত্যর্পণের যে নির্দেশ দিয়েছে, তার পক্ষে রায় দিচ্ছে এই আদালত।’ প্রসঙ্গত, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে প্রত্যর্পণ চুক্তি রয়েছে। বিচারক রায় দেন যে রানার ভারতে প্রত্যর্পণ সম্পূর্ণভাবে এই চুক্তির এখতিয়ারভুক্ত।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর মুম্বই হামলায় তওহুর রানার ভূমিকা নিয়ে তদন্ত করছে ভারতের এনআইএ। এই আবহে কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে তওহুর রানাকে ভারতে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছিল এনআইএ। এদিকে প্রত্যর্পণ সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলাকালীন মার্কিন সরকারের অ্যাটর্নি আদালতে জানান, পাক বংশোদ্ভূত ডেভিড হেডলি রানার ছোটবেলর বন্ধু। এই আবহে রানা জানত যে হেডলি লস্করের এই হামলার সঙ্গে যুক্ত। সেই সময় হেডলিকে সহযোগিতা করেছিল রানা। হেডলির কার্যকলাপ যাতে গোয়েন্দাদের চোখে না পড়ে, তা নিশ্চিত করেছিল তওহুর রানা। হেডলি জঙ্গিদের সঙ্গে যে বৈঠক করেছিল, সে বিষয়ে অবগত ছিল রানা। সে জানত সেই সব বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কোথায় হামলা চালানো হবে, তাও জানত রানা। এই হামলার পরিকল্পনার সঙ্গে রানা যুক্ত বলে দাবি করেন মার্কিন অ্যাটর্নি। উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের হামলায় ৬ মার্কিন নাগরিক সহ মোট ১৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ১০ জন পাক জঙ্গি ৬০ ঘণ্টা ধরে এই হামলা জারি রেখেছিল।