‘যেদিন চূড়ান্ত আন্দোলনে নামবো পারলে সেদিন ঠেকাবেন’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে জনসম্পৃক্ততা বাড়ানোর চেষ্টা করছি। জনগণ রাস্তায় নামছে এবং আমাদের কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিউৎসাহীরা আমাদের নানাভাবে বাধাগ্রস্ত করছেন। স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিচ্ছি, এখন তো আমরা কর্মসূচি পালন করলে ইনফর্ম করি, কিন্তু যেদিন চূড়ান্ত আন্দোলন করবো সেদিন কোনও ইনফর্ম নয়, সেদিন অধিকার আদায়ের হাতিয়ার হয়ে জনগণ রাজপথে থাকবে। পারলে সেদিন জনগণকে ঠেকাবেন। সেদিন আঘাত এলে পাল্টা আঘাত হবে। জনগণ নামলে কোনও শক্তিই টিকে থাকতে পারে না।’

শুক্রবার (১৯ মে) বিকালে কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড়ে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে ও দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তির দাবিতে কুমিল্লা মহানগর, দক্ষিণ ও উত্তর জেলা বিএনপি এই সমাবেশের আয়োজন করে।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার পদ ছাড়লেই আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হবে। কারা সরকারে আসবে এটা জনগণই ডিসাইড (সিদ্ধান্ত) করবে। আমরা দেশে গণতন্ত্রের জায়গাটি নিশ্চিত করার জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করছি। সেজন্য আমাদের আন্দোলন-সংগ্রামের কোনও বিকল্প নেই।’ 

কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমিন উর রশিদ ইয়াছিনের সভাপতিত্বে আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (কুমিল্লা বিভাগ) মোস্তাক মিয়া, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সায়েদুল হক সাইদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য খন্দকার মারুফ হোসেন, কুমিল্লা মহানগর আহ্বায়ক উৎবাতুল বারী আবু, সদস্য সচিব ইউসুফ মোল্লা টিপু, মহানগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আমিরুজ্জামান আমির, উত্তর জেলা আহ্বায়ক আক্তারুজ্জামান প্রমুখ।