Madhyamik Result 2023: শিক্ষকদের সন্তানরাই মাধ্যমিকে সেরা, কীভাবে গাইড করেন তাঁরা? HT-কে জানালেন প্রথম দেবদত্তার মা

মেধা তালিকায় থাকা অধিকাংশ ছাত্রছাত্রীদের মধ্যেই একটা মিল রয়েছে। একাধিক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে সফল হওয়া ছাত্রছাত্রীদের বাবা মা শিক্ষকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত। মাধ্যমিকে প্রথম হওয়া দেবদত্তা মাঝি, কিংবা দ্বিতীয় হওয়া শুভম পাল কিংবা অষ্টম হওয়ার প্রত্যুষা বর্মন মেধা তালিকায় নাম থাকা অধিকাংশ কৃতীর বাবা মা শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত। তবে কি অভিভাবকরা কেউ শিক্ষকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত থাকলে এগিয়ে যেতে বা গাইড পেতে কিছুটা সুবিধা হয় ছাত্রছাত্রীদের? 

মাধ্যমিকে রাজ্যের সেরা পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়ার দেবদত্তা মাঝি। তার বাবা জয়ন্ত মাঝি কলেজের অধ্য়াপক। মা শেলী মাঝি হাইস্কুলের শিক্ষিকা। আবার দ্বিতীয় হওয়া শুভম পালের মা স্বপ্না পাল স্কুলের শিক্ষিকা। আবার দিনহাটার ছাত্রী প্রত্যুষা বর্মন অষ্টম হয়েছে। তার বাবা স্কুলের শিক্ষিকা। অন্যদিকে মাহেশের শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রমের ছাত্র অয়নদ্বীপ দশম হয়েছে। তার মা শ্রাবণী বসু সেনগুপ্ত পেশায় স্কুলের শিক্ষিকা। তবে এর ব্যতীক্রমী ঘটনাও রয়েছে। আবার মাধ্যমিকে দশম স্থানে থাকা বিনায়ক সেনাপতির বাবা তাপস সেনাপতি পেশায় শিক্ষক।

তবে একেবারে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবার থেকেও এসেছে সাফল্য। বাবা প্রান্তিক কৃষক, কিংবা দোকানে কাজ করেন সেই পরিবারের সন্তানও নজরকাড়া সাফল্য পেয়েছে। তাদের লড়াইটা হয়তো আরও একটু কঠিন। তবুও সেই লড়াইতে পিছিয়ে যায়নি তারা। নিজেরা কঠিন পরিশ্রম করে সন্তানদের জন্য় অনেক আত্মত্যাগ করেছেন তাঁরা। 

কিন্তু বাবা অথবা মা শিক্ষক হলে বাড়তি কী ধরনের সুবিধা পাওয়া যায়? এনিয়ে ছাত্রছাত্রীদের একাংশের দাবি, পড়ার ক্ষেত্রে কিছুটা সুবিধা পাওয়া যায়। কীভাবে প্রশ্ন লিখতে হবে, কীভাবে বেশি নম্বর পাওয়া যায় এই ধরনের টিপস পাওয়া যায়। তাছাড়া স্কুলের পড়াশোনা সম্পর্কে তাঁরা সচেতন থাকায় কিছুটা সুবিধা হয়। 

মাধ্যমিকে অষ্টম প্রত্যুষা বর্মনের বাবা তরণীকান্ত বর্মন নিজেই পেশায় স্কুল শিক্ষক। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে মাধ্যমিকে প্রথম স্থানের অধিকারী দেবদত্তা মাঝির মা শেলী মাঝি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে জানিয়েছেন, বাবা মা শিক্ষকতা করলে একটু সুবিধা হয়। কারণ আমরা ওদের সিলেবাসটা জানি। সেই অনুসারে স্কুল বা টিউশনের বাইরেও নজর দিতে পারি। কতটা পড়ল সেটা বুঝতে পারি।  কীভাবে পড়লে ভাল নম্বর পাওয়া যায় এটা আমরা পরামর্শ দিতে পারি। অন্য় পেশার ক্ষেত্রে যাঁরা আছেন তাঁরা সন্তানের সিলেবাসটা জেনে নেবেন। তাহলে ও কতটা এগোচ্ছে এটা বুঝতে পারবেন।