রিংকুর তাণ্ডব ছাপিয়ে নাটকীয় জয়ে প্লে অফে লখনউ

১১তম ওভারে লখনউ সুপার জায়ান্টসের স্কোর ছিল ৫ উইকেটে ৭৩ রান। নিকোলাস পুরান নেমে ৩০ বলে ৫৮ রানের ইনিংস খেলেন। শেষ ১২ বলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের দরকার ছিল ৪১ রান। ব্যাট হাতে এই দুই ওভারে তাণ্ডব চালিয়ে ৩৯ রান তোলেন রিংকু সিং। দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ানো দুটো ইনিংস, কিন্তু বিজয়ী একজন।  ইডেন গার্ডেনসে রিংকু হতে পারেননি নায়ক। ১ রানের রোমাঞ্চকর জয়ে লখনউ তৃতীয় দল হিসেবে প্লে অফ নিশ্চিত করেছে।

কলকাতার মাঠে আগে ব্যাট করে লখনউ তোলে ৮ উইকেটে ১৭৬ রান। জবাবে ৭ উইকেট হারিয়ে স্বাগতিকরা থেমেছে ১৭৫ রানে।

১৮ ওভার শেষে ৭ উইকেটে কলকাতার স্কোর ছিল ১৩৬ রান। রিংকুর পাশে রান ২২ বলে ৩১। কত বড় ব্যবধানে হারে কলকাতা, সেটাই হয়তো হিসাব করছিলেন স্বাগতিক দর্শকরা। কিন্তু ১৯তম ওভারে তিন চার ও এক ছক্কায় ২০ রান করে ম্যাচ জমিয়ে দেন রিংকু। শেষ ওভারে দরকার ২১ রান। প্রথম চার বলে দুটি ওয়াইড ও একটি সিঙ্গেলে যোগ হয় তিন রান। শেষ তিন বলে ১৮ রান লাগতো। চতুর্থ বলে ডিপ মিডউইকেট দিয়ে ছয় মারেন রিংকু। পরের বলটি উড়িয়ে মারেন লং অফ দিয়ে, অল্পের জন্য ছয় হয়নি; চার। শেষ বলে ছয় মারলেও লক্ষ্য পূরণ হয়নি। ৩৩ বলে ৬ চার ও ৪ ছয়ে ৬৭ রানে অপরাজিত ছিলেন রিংকু।

লক্ষ্যে নেমে প্রথম ৬ ওভারে কোনও উইকেট না হারিয়ে ৬১ রান তুলে ভালো শুরু করেছিল কলকাতা। কিন্তু দুই ওপেনার ভেঙ্কটেশ আইয়ার (২৪) ও জেসন রয় (৪৫) আউট হলে থেমে যায় রানের গতি। রবি বিষ্ণয় ২৩ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। ক্রুনাল পান্ডিয়া ও কৃষ্ণাপ্পা গৌতম উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেন। শেষ দিকে যশ ঠাকুর ও নাভিন উল হক আঁটসাঁট বোলিং করে চেপে ধরেন কলকাতাকে। কিন্তু রিংকুর লড়াই কাঁপিয়ে দেয় লখনউকে।

পুরানের ঝড়ো ইনিংসের পাশাপাশি লখনউর ব্যাটিংয় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন কুইন্টন ডি কক (২৮), প্রেরাক মানকাড (২৬) ও আয়ুশ বাদোনি (২৫)।

এই জয়ে লখনউ ১৪ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে থেকে প্লে অফ নিশ্চিত করলো। ১২ পয়েন্ট নিয়ে সাতে থেকে বিদায় নিলো কলকাতা।