Modi meets Zelenskyy: ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার হামলার পর এই প্রথম জেলেনস্কির সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠক মোদীর

জাপানের হিরোশিমায় জি৭ বৈঠকের ফাঁকে মুখোমুখি বৈঠক করলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনের ওপর হামলার পর এই প্রথম দুই রাষ্ট্রনেতা মুখোমুখি বৈঠকে বসলেন। এর আগে ইউক্রেন যুদ্ধের মাঝে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে এসসিও শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে বৈঠকে করেছিলেন মোদী। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছিলেন, ‘এই যুগ যুদ্ধের জন্য নয়।’ তখন পুতিনও সেই কথা মেনে নিয়েছিলেন। পরবর্তীতে ২০২২ সালে ইন্দোনেশিয়ায় জি২০-এর যৌথ বিবৃতিতে মোদীর এই মন্ত্রেই ঐক্যমত্যে এসেছিল ২০টি দেশ। এদিকে প্রসঙ্গত, ভারত এবারের জি২০-র সভাপতি। এদিকে জি৭ শীর্ষ সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে ডাক পেয়েছেন মোদী। সঙ্গে বিশেষ অতিথি হিসেবেই জাপানে গিয়েছেন জেলেনস্কি।

এর আগে ইউক্রেনের মন্ত্রী দিল্লিতে এসে ভারতের থেকে মেডিক্যাল সামগ্রী সরবরাহের জন্য আবেদন করেছিলেন। এদিকে যুদ্ধের সময় বরাবর ইউক্রেনকে সাহায্য করে এসেছে ভারত। তবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রসংঘে ভোটও দেয়নি ভারত। এই আবহে ইউক্রেনের আবেদন, এই যুদ্ধ থামাতে ভারত আরও অগ্রণী ভূমিকা পালন করুক। এদিকে আজকে জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকে ভারতের তরফে থেকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালও। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফ থেকে এই বৈঠকের ছবি পোস্ট করা হয়। তবে বৈঠকের আলোচ্য বিষয় নিয়ে সরকারি ভাবে কিছু বলা হয়নি।

এদিকে জেলেনস্কি ছাড়াও আরও দেশের প্রধানদের সঙ্গে আজকে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সঙ্গে আজ ৫০ মিনিটের বৈঠক করেন মোদী। সেমিকন্ডাক্টর, প্রযুক্তি, ডিজিটাল পরিকাঠামো নিয়ে দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে আলোচনা হয়। এছাড়াও রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট, ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি, জার্মানির চ্যান্সেলার, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট, ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। এছাড়াও জাপানের বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বের সঙ্গেও দেখা করেন মোদী। এদিকে জানা গিয়েছে, হিরোশিমাতেই কোয়াডের বৈঠক হতে পারে। কোয়াডের বৈঠক অস্ট্রেলিয়াতে হওয়ার কথা ছিল। তবে দেশের অর্থনৈতিক সংকটের আবহে অস্ট্রেলিয়া সফর বাতিল করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এই পরিস্থিতিতে জাপানে জি৭ বৈঠকের ফাঁকেই কোয়াডের বৈঠকে বসতে পারেন ভারত, আমেরিকা, জাপান এবং অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রনেতারা।