Dooars: পুষ্পা স্টাইলে পাচারের চেষ্টা ডুয়ার্সে, জলের বোতল সরাতেই হতবাক বনদফতর

ডুয়ার্সে নানা ভাবে কাঠ পাচারের নজির রয়েছে। তবে এবার একেবারে অভিনব পথ নিয়েছিল কাঠ পাচারকারীরা। ডুয়ার্সের নাগরাকাটায় মিনারেল ওয়াটার বোঝাই একটি গাড়িকে তাড়া করেছিল বনদফতরের গাড়ি। তবে বনদফতরের গাড়ি দেখেই মিনারেল ওয়াটারের জলের বোতল বোঝাই গাড়িটি স্পিড বাড়িয়ে দেয়। ক্রমেই গতি বাড়াতে থাকে পিক আপ ভ্য়ানটি।

তবে বনদফতরের কাছে পাক্কা খবর ছিল মিনারেল ওয়াটার বোঝাই গাড়িতেই পাচার হচ্ছে। নাগরাকাটার ৩১ সি জাতীয় সড়কের টোল প্লাজার কাছে সেকারণে আগে থেকেই বনদফতরের আধিকারিকরা বসেছিলেন। এদিকে পানীয় জলের জার বোঝাই গাড়িটি এগিয়ে আসতেই চ্যালেঞ্জ করেন বনদফতরের কর্তারা। ততক্ষণে বুঝে গিয়েছে পাচারকারীরা। এরপর তারা দ্রুত গাড়ি চালাতে শুরু করে। এদিকে বনদফতরের আধিকারিকরাও গাড়িটিকে তাড়া করেন। শেষ পর্যন্ত গাড়ির চালক রাস্তার ধারে গাড়িটিকে দাঁড় করিয়ে পালিয়ে যান বলে খবর। এরপর বনদফতর গাড়িটিকে ধরে ফেলে।

তারপর গাড়িটির উপর থাকা ত্রিপল সরানো হয়। আর ত্রিপল সরাতেই দেখা যায় সারি সারি মিনারেল ওয়াটারের বোতল রাখা রয়েছে। ওপর থেকে দেখে বোঝার উপায় নেই। আর সেই বোতল সরাতেই বেরিয়ে আসে সেগুন কাঠের বহুমূল্য লগ। প্রাথমিক তদন্তে বনদফতর জানতে পেরেছে বানারহাটের দিকে এই গাড়িটি যাচ্ছিল। আপাতত কাঠগুলি বাজেয়াপ্ত করে ডায়না রেঞ্জ অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

কিন্তু কোন জঙ্গল থেকে কাঠগুলিকে নিয়ে আসা হচ্ছিল তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই চক্রের সঙ্গে কারা যুক্ত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এদিকে অনেকের মতে, পুষ্পা সিনেমায় দুধের ক্যানের গাড়িতে লাল চন্দন কাঠ পাচারের ঘটনা দেখা গিয়েছিল। সেই রিল লাইফেরই ছায়া যেন দেখা গেল রিয়েল লাইফে। এখানে দুধের ক্যান নয়, একটু বদলে গিয়ে রাখা হয়েছিল জলের বোতল। একেবারে প্যাকেটবন্দি জলভর্তি মিনারেল ওয়াটারের সারি সারি বোতল। সেই বোতলের নীচেই ছিল কাঠের লগ। প্রায় ২ লক্ষ টাকার কাঠ এদিন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।