Kuntal Ghosh: অভিষেককে জেরা করে পাওয়া তথ্য খতিয়ে দেখতে জেলে গিয়ে কুন্তলকে জেরা করবে CBI

শনিবার সাড়ে ন’ঘণ্টা অভিষেককে জেরার পর এবার কুন্তলকে জেলে গিয়ে জেরা করতে চায় সিবিআই। রবিবার সিবিআই সূত্রে এই খবর পাওয়া গিয়েছে। অভিষেকের বয়ানের সঙ্গে কুন্তলের বক্তব্য জেলে গিয়ে মিলিয়ে দেখতে চান গোয়েন্দারা। জানতে চান, কী কারণে ২৯ মার্চ শহিদ মিনার মঞ্চে অভিষেকের ‘এজেন্সির চাপ’ মন্তব্যের পরদিনই একই ধরণের অভিযোগ তুললেন তিনি।

গত ২৯ মে শহিদ মিনার ময়দানে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ আয়োজিত এক সভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘যবে থেকে সারদা হয়েছিল আক্রমণ ছিল আমার দিকে। মদন মিত্র, কুণাল ঘোষ দীর্ঘদিন কাস্টডিতে ছিলেন। কী বলেছে জানেন এদের? অভিষেকের নাম নাও ছেড়ে দেব। সারদা থেকে শুরু করে নারদা। তারপর হল গরু, কয়লা, এসএসসি। আমার যদি কোথাও যোগসাজশ থাকে, প্রমাণ করতে পারেন আমি যুক্ত, আমার পিছনে ইডি-সিবিআই লাগাতে হবে না। সারদা, নারদা, টেট, এসএসসি, কয়লা, গরু হোক এই শহিদ মিনারের মঞ্চে আমি মৃত্যুবরণ করব। কথা দিয়ে গেলাম। ’

পরদিনই আদালতে পেশের সময় নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে জেলবন্দি তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ বলেন, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলানোর জন্য চেষ্টা করছে। কে চেষ্টা করছে বলব না। চিঠি আকারে মহামান্য আদালতকে সবটা জানিয়েছি।’ এর পর একই অভিযোগ তুলে আদালতে চিঠি দেন তিনি। এমনকী জেল সুুপারের মাধ্যমে প্রিজনার্স পিটিশনের মাধ্যমে হেস্টিংস থানায় অভিযোগ জানান।

এর পর আদালতের দ্বারস্থ হয়ে ইডি জানায় তদন্তকে প্রভাবিত করার জন্য এই অভিযোগ করা হচ্ছে। কেন অভিষেকের বক্তব্যের পরই কুন্তল এই অভিযোগ তুললেন সেই প্রশ্ন তুলে দুজনকে জেরা করার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিষেক। সুপ্রিম কোর্ট মামলাটি অন্য বেঞ্চে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। গত মঙ্গল ও বুধবার হাইকোর্টে বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হয়। বৃহস্পতিবার রায়ে বিচারপতি সিনহা জানান, অভিষেককে জেরা করতে পারবে সিবিআই। এর পর অকারণে আদালতের সময় নষ্ট করার জন্য কুন্তল ও অভিষেককে ২৫ লক্ষ টাকা করে জরিমানা করেন বিচারপতি। রায়ে স্থগিতাদেশের আবেদন করে শুক্রবার ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন অভিষেক। কিন্তু আদালত মামলাটির দ্রুত শুনানি করতে অস্বীকার করে। এর পরই অভিষেকের কাছে এসে পৌঁছয় সিবিআইয়ের নোটিশ। সেই নোটিশের ভিত্তিতে শনিবার বেলা ১১টা নাগাদ কলকাতার নিজাম প্যালেসে হাজির হন তিনি।

সিবিআই সূত্রে খবর, কুন্তলের চিঠি মামলার পাশাপাশি নিয়োগ দুর্নীতি মামলার একাধিক অভিযুক্তকে অভিষেক চেনেন কি না তা তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে। রেকর্ড করা হয়েছে বয়ান। সেই বয়ানের ভিত্তিতেই জেলে গিয়ে কুন্তল ঘোষকে জেরা করতে চান সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। জানতে চান, হঠাৎ করে এই অভিযোগ তিনি তুলতে গেলেন কেন? কারও পরামর্শ বা চাপে কি তিনি এই কাজ করেছেন? না কি নিজের খেয়ালেই অভিযোগ করেছেন তিনি।