Madan Mitra meets Kunal Ghosh: মদনের আক্রমণ হজম করে মিত্র-সাক্ষাতে কুণাল, SSKM কাণ্ডে সুর নরম তৃণমূল বিধায়কের

এসএসকেএম-এ রোগী ভরতি না করাতে পেরে ‘বিদ্রোহ’ ঘোষণা করেছিলেন মদন মিত্র। কামারহাটির বিধায়ক আক্রমণ শানিয়েছিলেন দলেরই মুখপাত্র কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে। বিস্ফোরক সাংবাদিক সম্মেলনে বিধায়ক পদ ছেড়ে দেওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মদন। আর সেই বিস্ফোরণের কয়েক ঘণ্টা পরই মদন মিত্রর সঙ্গে দেখা করেন কুণাল ঘোষ। কুণালের বাড়িতে যান বিধায়ক। বলেন, ‘চা খেতে এসেছি’। আর সেই সাক্ষাতেই আপাতত কাজ দিয়েছে। কিছুটা হলেও সুর নরম হয়েছে মদনের। তবে এসএসকেএম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এখনও তোপ দেগে চলেছেন তিনি। তবে দলকে স্বস্তি দিয়ে মদন জানান, দলের সঙ্গে তাঁর কোনও সংঘাত নেই।

উল্লেখ্য, একটি বাইক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছিলেন শুভদীপ পাল নামের এক যুবক। তিনি এক সরকারি হাসপাতালেরই ল্যাব টেকনিশিয়ান। তবে এসএসকেএম-এর ট্রমা সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হলে নাকি তাঁকে ভরতি নেওয়া হয়নি। প্রাথমিক চিকিৎসাও দেওয়া হয়নি। এই আবহে মদন মিত্র গত শুক্রবার রাতভর এসএসকেএম-এ হুলুস্থুল কাণ্ড বাঁধিয়েছিলেন। এও বলেছিলেন, ‘সিপিএম-এর আমল হলে এক মিনিট লাগত রোগী ভরতি করতে।’ পরে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই নাকি এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ মদন মিত্রর বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করে। এরপরই আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন মদন। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি ক্ষোভ ও অভিমান ঝরে পড়ে তাঁর কথায়। এমনকী কুণাল প্রসঙ্গে বলেন, ‘কুণালের বিরুদ্ধে সাড়ে চারশোটা মামলা রয়েছে। ও আমার মুখপাত্র।’ পাশাপাশি চ্যালেঞ্জের সুরে বলেন, ‘আমাকে যদি গ্রেফতার করে তো করুক। মদন মিত্র এসবে ভয় করে না।’

তবে কুণালের সঙ্গে সাক্ষাতের পর মদনের সুর কিছুটা নরম হয়। তবে এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ এখনও তাঁর নিশানায় রয়েছেন। কুণালের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মদন বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীকে মিথ্যে বলা হয়েছে।’ গতকাল কুণালের সঙ্গে তাঁর বাড়িতে দেখা করে মদম বলেন, ‘কুণালের বিরুদ্ধে অনেক মামলা আছে ঠিক। ও এখন দলের মুখপাত্র। ঝুঁকি নিয়েই দলে জন্য কাজ করেছে ও। কুণাল যা করেছে, তা অনেকেই করতে পারে না।’ পাশাপাশি মদন মিত্র জানান, কুণালের সঙ্গে তাঁর রাজনীতি বিষয়ক আলোচনাই হয়েছে। এসবের মাঝেও এসএসকেএম কাণ্ড নিয়ে নিজের অবস্থানে অনড় থেকেছেন তিনি। এদিকে অভিষেকের সিবিআই জেরা নিয়েও মুখ খোলেন মদন মিত্র। বলেন, ‘আমরা সবাই অভিষেককে ভালোবাসি। আমরা মুখ্যমন্ত্রীর পাশে রয়েছি।’

এর আগে এসএসকেএম কাণ্ডে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের দাবি করেছিলেন মদন। দিয়েছিলেন এসএসকেএম বয়কেটর ডাকও। এরপর সাংবাদিক সম্মেলনে মমতা প্রসঙ্গে মদন বলেছিলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে পাঁচ বছরে পাঁচ মিনিট সময় দেননি। আমি তাঁর চোখের বালি হয়ে থাকতে পারি, কিন্তু মানুষের জন্য লড়াই করা থামাবো না।’ এর আগে হাসপাতালের অধিকর্তা জানিয়েছিলেন, মদনকাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁর। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তায় সরকার কোনও গাফিলতি মেনে নেবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন তিনি। এই আবহে মদন মিত্রের বিরুদ্ধে গুন্ডাগিরির অভিযোগে পুলিশের দ্বারস্থ হয় কর্তৃপক্ষ।