Offbeat Darjeeling: রংপো নদীর ধারে কালিম্পংয়ের সুন্দরী গ্রাম সীমানাদারা, সিকিম দেখুন এখান থেকেই

কলকাতায় প্রচন্ড গরম। তবে সন্ধ্যার দিকে হাওয়া দিচ্ছে এটাই রক্ষে। তবে অনেকের সন্তানেরই তো গরমের ছুটি পড়ে গিয়েছে। মন কি পাহাড় পাহাড় করছে?

মেঘের দেশে যাবেন? হাত বাড়ালেই কাঞ্চনজঙ্ঘা ! নির্জন প্রকৃতির মাঝে দুদিন কাটাতে চান? রংপো নদীর ধারে কালিম্পং এর ছোট্ট গ্রাম সীমানাদারা। আসলে সিকিম আর বাংলার একেবারে সীমানা বরাবর ছোট্ট সুন্দর গ্রাম এই সীমানাদারা বা সিমানদারা।

পাহাড়ে প্রায় পাঁচ হাজার ফুট উচ্চতায় অপরূপ এই জনপদ। তবে এখানে মানুষজন খুবই কম। অত্যন্ত নির্জন। এনজেপি থেকে সীমানাদারার দূরত্ব প্রায় ৮৮ কিলোমিটার।

ইদানিং একাধিক হোমস্টে গড়ে উঠেছে। আগে থেকে বুক করে চলে আসতে পারেন। এনজেপি থেকে সরাসরি গাড়িতে আসতে পারেন। অথবা হোমস্টের সঙ্গে কথা বলে তাদের পিকআপ ফেসিলিটি আছে কিনা জেনে নিতে পারেন।

গ্রাম থেকে কাছেই রংপো নদী। ব্রেকফাস্ট খেয়ে একবার ঘুরে আসতে পারেন। খুব ভালো লাগবে। পাহাড়ের পাথরে ধাক্কা খেয়ে আপন মনে বয়ে চলেছে ছোট্ট নদী।

এখান থেকে সিকিম খুব একটা বেশি দূরে নয়। সিকিমের পাক ইয়ং এয়ারপোর্টটা এখান থেকে আবছা দেখা যায়। বিমানের ওঠানামা দেখতে পাওয়া যায়। হোম স্টের বারান্দা থেকে বসে দিনভর দেখুন এই ছবি।

সীমানাদারাকে কেন্দ্র করে একাধিক বেড়ানোর জায়গা রয়েছে। এখান থেকে আপনি রামধুরা,সিলারিগাঁও, পেডং কোলাখাম, দূরপিনদারা ঘুরে আসতে পারেন।

তবে হোমস্টে নেওয়ার আগে জেনে নেবেন সেখানকার বারান্দা থেকে সিকিমের অংশটা দেখা যায় কিনা। কারণ রাতের বেলা যখন হোমস্টের বারান্দাতে এসে বসবেন তখন দেখবেন দূরে আলোর মেলা। এটা দেখতে দেখতে কখন যে সময় কেটে যাবে বুঝতে পারবেন না। আর সীমানা যারা এমন একটা গ্রাম যেখানে যেদিকেই তাকাবেন পাহাড়ের সারি। হোমস্টের বারান্দা থেকে দেখুন মেঘেদের আনাগোনা। এক অদ্ভুত অনুভূতি হবে।

কীভাবে যাবেন: এনজেপি থেকে সরাসরি গাড়ি ভাড়া করে চলে যেতে পারেন সীমানদারা। দূরত্ব প্রায় ৮৮ কিমি।