জামাইষষ্ঠীর আগেই লক্ষ্মীলাভ মৎস্যজীবীর, ভাগীরথী নদীতে জাল ফেলে মিলল বিরাট মাছ

কপালের নাম গোপাল বোধহয় একেই বলে। ভাগীরথী নদীতে জাল ফেলেছিলেন এক মৎস্যজীবী। যদি কিছু মাছ ওঠে তা বেচে সংসারটা চালানো যাবে। এটাই ছিল তাঁর জীবন–জীবিকার মূল লক্ষ্য। তাই মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। কিন্তু কপালে যে এমন আশ্চর্য কিছু লেখা আছে সেটা তাঁর অজানাই ছিল। তাই জাল ফেলে অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে টানতেই বুঝলেন মাছ ধরা পড়েছে। তবে এত ভারী যে টানতে বেশ কসরৎ করতে হচ্ছিল। তখন ওই মৎস্যজীবীর মনে প্রশ্ন জাগে, এত ভারী কেন?‌ তাহলে কি অন্য কিছু উঠেছে জালে?‌ সব প্রশ্নের উত্তর মেলে জাল ডাঙায় ওঠার পর।

ঠিক কী ঘটেছে ভাগীরথী নদীতে?‌ মৎস্যজীবী জালে টানতেই বুঝলেন ওজনদার কিছুই জালে ফেঁসেছে। এরপর টেনে জাল ডাঙায় তুলতেই দেখা যায় ৩৫ কেজির কাতলা মাছ উঠে এসেছে। এটা তিনি ভাবতে পারেননি। তবে এমন ঘটনাই ঘটেছে। তবে এই মাছ দেখার জন্য ভিড় জমে যায় শান্তিপুর গবার চর এলাকার ভাগীরথী নদীর ধারে। এমন ঘটনায় মৎস্যজীবী গৌতম বিশ্বাস একদিকে অবাক অন্যদিকে খুব খুশি। আগে তাঁর জীবনে এমন ঘটনা ঘটেনি। তবে এই বিশাল ওজনের কাতলা মাছের আগে ১০ কেজির কাতলা মাছ তাঁর জালে উঠেছিল।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ আগামী বৃহস্পতিবার জামাইষষ্ঠী। বাঙালির কাছে একটা বিশেষ দিন। বিশেষ করে জামাই এবং শ্বশুরবাড়ির মধ্যে। তার আগে এমন লক্ষ্মী লাভের সুযোগ হয়ে যাওয়ায় বেজায় খুশি ওই মৎস্যজীবী। কারণ জামাইষষ্ঠী উপলক্ষ্যে মাছ কিনবেই মানুষজন। আর তাতে দাম ভাল মিলবে তাঁর। নদী যেখানে সবথেকে গভীর সেখানে গেলেই বড় মাছ পাওয়া যায়। কিন্তু এত বড় মাছ উঠবে সেটা ভাবতে পারেননি ওই মৎস্যজীবী। আগে ২২ কেজি ৭০০ গ্রাম ওজনের একটা কাতলা মাছ এখানে ধরা পড়েছিল। তবে সেটা কয়েক বছর আগে।

ঠিক কী বলছেন মৎস্যজীবী?‌ জামাইষষ্ঠীর আগে এত বড় কাতলা মাছ পেয়ে বেজায় খুশি মৎস্যজীবী গৌতম বিশ্বাস। তাঁর কথায়, ‘‌এই মাছটির বাজার মূল্য হতে পারে প্রায় কুড়ি হাজার টাকা। তবে আগেও ভাগীরথী নদী থেকে বিশাল আকৃতির মাছ ধরা পড়েছে মৎস্যজীবীদের জালে। শুধু আমিই বঞ্চিত ছিলাম। ঈশ্বর আমাকেও এবার পাইয়ে দিল। তাই কোটি কোটি ধন্যবাদ। কিন্তু ৩৫ কেজি ওজনের কাতলা মাছ আগে কখনও দেখা যায়নি।’‌ স্থানীয় পাইকারি বাজারে এই মাছ বিক্রি করা হবে যাতে ভাল দাম মেলে।