দুবরাজপুর বোমা বিস্ফোরণে নয়া মোড়, পুলিশের হাতে গ্রেফতার এক, আটক মূল অভিযুক্তের ছেলে

দুবরাজপুরে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় গ্রেফতার হল একজন। আর একজনকে আটক করেছে পুলিশ। সে এই ঘটনায় মূল অভিযুক্তের ছেলে। দুরবাজপুরে ভয়াবহ বোমা বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল এলাকা। আর এই বিস্ফোরণে উড়ে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর বাড়ি। অভিযোগ, ওই কর্মীর বাড়িতে বোমা মজুত ছিল। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। আজ গ্রেফতার হতে মানুষজন একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন।

পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে?‌ পুলিশ সূত্রে খবর, গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তির নাম শেখ মরিলাল। ধৃত মরিলাল মূল অভিযুক্ত শেখ শফিকের ভাই। যে বাড়িতে সোমবার বিস্ফোরণ ঘটেছিল সেই বাড়িতেই থাকত শেখ মরিলাল। তার কাজকর্মের জেরেই বিস্ফোরণ ঘটেছিল। তাই শেখ মরিলালকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিন আরও একজনকে আটক করা হয়েছে। তার নাম শেখ শাহরুক। মূল অভিযুক্ত শেখ শফিকের ছেলে শেখ শাহরুককে আটক করা হয়েছে। এখন তাদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। গোটা ঘটনার তদন্তের স্বার্থে। এরপর তাদের আদালতে তোলা হবে।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ এদিকে সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেখানে বীরভূমকে টার্গেট করেছে বিজেপি। তার উপর তৃণমূল কংগ্রেসের এই জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল এখন তিহাড় জেলে বন্দি। এমন আবহে বীরভূমের দুবরাজপুরে বোমা বিস্ফোরণ হওয়ায় বেশ চাপে পড়ে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। কারণ এগরা বা বজবজের ক্ষেত্রে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও হাত নেই বলা হচ্ছে। কিন্তু দুবরাজপুরের ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর নাম জড়িয়ে যাচ্ছে। তার বাড়িতেই এই বিস্ফোরণ ঘটেছে। তাই আজ, মঙ্গলবার তদন্ত করতে ঘটনাস্থলে আসার কথা সিআইডি বম্ব স্কোয়াডের। ঘটনাস্থলে আরও বোমা আছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখবে সিআইডির এই স্কোয়াড।

দুবরাজপুর থেকে কী জানা যাচ্ছে?‌ স্থানীয় সূত্রে খবর, বিস্ফোরণে যে বাড়িটির ছাদ উড়ে গিয়েছে সেটি তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী শেখ শফিকের বাড়ি। সেখানে বোমা মজুত ছিল। বোমা সেখানে কেমন করে এল?‌ তা ফাটল কীভাবে?‌ সেসব খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দুবরাজপুর থানার পুলিশবাহিনী। অভিযোগ, শফিকের বাড়ির সিঁড়ির কাছে বোমাগুলি মজুত করা ছিল। কোনও অসাবধানতায় তা থেকে বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে আশপাশের বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই বিস্ফোরণের শব্দে একজন মহিলা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে তৎক্ষণাৎ স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানেই চিকিৎসা চলছে ওই মহিলার। শেখ শফিক পেশায় একজন কৃষক হলেও এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী হিসেবে পরিচিত।