Narendra Modi in Pacific: প্রশান্ত মহাসাগরের দেশগুলিকে বন্ধুত্বের অর্থ বোঝালেন মোদী, করলেন একাধিক প্রকল্পের ঘোষণা

ভিনদেশে ভারত সরকারের প্রকল্প নতুন কিছু নয়। এই আবহে এবার প্রশান্ত মহালাগরের বুকে মাথা উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ১৪টি দ্বীপরাষ্ট্রের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল ভারত। বিশেষ করে স্বাস্থ্য খাতে এই দেশগুলিকে সাহায্য করার ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একদিকে যেখানে এই দেশগুলির দিকে রক্তচক্ষু দিয়ে কটমট করে তাকিয়ে চিন, সেখানে এই ছোট্ট দেশগুলিতে বন্ধুত্বের আসল অর্থ বোঝালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্যাসিফিক দেশগুলির সঙ্গে সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী কোভিড সময়কালের কথা তুলে ধরেন। তাঁর কথায়, ‘যাদের আসলে বন্ধু মনে করা হয়েছিল, তারা যে বন্ধু নয়, তা কোভিড বুঝিয়ে দিয়েছে।’ পাশাপাশি পাপুয়া নিউ গিনি, ফিজির মতো দেশগুলিতে একাধিক প্রকল্পের ঘোষণা করে বার্তা দেন, ভারত সবসময় পাশে আছে তাদের। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ভারত-প্রশান্ত মহাসাগর সহযোগিতা সংগঠন। এই ফোরামে রয়েছে – কুক দ্বীপপুঞ্জ, ফিজি, কিরিবাতি, মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ, ফেডারেটেড স্টেটস অফ মাইক্রোনেশিয়া, নাউরু, নিউ, সামোয়া, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ, পালাউ, পাপুয়া নিউ গিনি, টোঙ্গা, টুভালু এবং ভানুয়াতু।

প্রশান্ত মহাসগারে অবস্থিত এই দ্বীপরাষ্ট্রগুলির সঙ্গে সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে একাধিক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে ভারত। চিনের দখলদারী মনোভাবকে ঠেকিয়ে এই অঞ্চলে নিজেদের প্রভাব বিস্ততার করতে চাইছে দিল্লি। এর জন্যে এই দেশগুলিতে জনমুখী প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে চলেছে ভারত। আর তাই ফিজিতে একটি সুপারস্পেশালিটি কার্ডিওলজি হাসপাতাল গড়ে তুলবে ভারত সরকার। এছাড়া প্রশান্ত মহাসাগরের ১৪টি দ্বীপরাষ্ট্রের সবাইকেই এয়ার অ্যাম্বুলেন্স দেবে ভারত। তাছাড়া এই ১৪ দেশে ডায়ালিসিস সেন্টার গড়ে তুলবে ভারত। এদিকে ২০২৪ সালে পাপুয়া নিউ গিনিতে একটি ক্যাম্প করে প্রস্থেটিক পা দেওয়া হবে কয়েক’শো জনকে। এর আগে ফিজিতে একই ধরনের ক্যাম্প করে ৬০০ জনকে নতুন পা দিয়েছিল ভারত সরকার। এছাড়া এই দ্বীপকাষ্ট্রগুলিতে যোগা সেন্টার গড়ে তোলারও প্রস্তাব দিয়েছেন মোদী। সঙ্গে ন্যায্যমূল্যে ওষুধ বিক্রির জন্য এই দেশগুলিতে ‘জন ঔষধি সেন্টার’ও গড়ে তুলতে চায় ভারত সরকার।

এদিকে পাপুয়া নিউ গিনিতে অবস্থিত ‘আইটি এক্সেলেন্স সেন্টারকে’ আরও অত্যাধুনিক করে তুলবে ভারত। এটিকে এই অঞ্চলের আইটি ও সাইবার নিরাপত্তা হাবে পরিণত করার পরিকল্পনা রয়েছে দিল্লির। এদিকে এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশেও একই ধরনের সেন্টার নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে ভারতের। ফিজির সাইবার নিরাপত্তার জন্য একটি হেল্পলাইনও খুলবে ভারত। এদিকে প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্রগুলিতে খুদ্র ও মাঝারি ব্যবসাগুলিকে সাহায্য করতে মেশিন ও প্রযুক্তি প্রদান করবে ভারত। এর জন্য একটি প্রকল্প চালু করা হচ্ছে। এদিকে এই ১৪টি দ্বীপরাষ্ট্রের প্রধানদের বাসভবনকে সৌরবিদ্যুৎ চালিত করবে ভাপত। পাশাপাশি এই দেশগুলির অন্তত একটি করে সরকারি অফিস ভবনকেও সৌর বিদ্যুৎ চালিত করবে ভারত। এদিকে ভারত এই দেশগুলিকে ‘ডিস্যালিনাইজেশন ইউনিট’ প্রদান করবে যাতে পানীয় জলের সমস্যায় না পড়ে তারা। এছাড়া ‘সাগর অমৃত স্কালরশিপে’র মাধ্যমে আগামী পাঁচ বছরে প্রযুক্তি খাতে ১০০০ জনকে প্রশিক্ষণ দেবে ভারত।