Englishbazar Blast in a firecracker shop: মঙ্গলে অমঙ্গল, ফের বিস্ফোরণ বাংলায়, বাজির দোকানে আগুনে ঝলসে মৃত ১

বিগত বেশ কয়েকদিনে পশ্চিমবঙ্গে বাজির কারখানায় আগুন লাগার ঘটনায় শিউরে উঠেছে গোটা রাজ্য। প্রথমে এগরা, তারপর মহেশতলা। আর মঙ্গলবার সকাল সকাল ফের একবার বাজির দোকানে আগুন, বিস্ফোরণ, মৃত্যু! জানা গিয়েছে, এবার ঘটনাটি ঘটেছে মালদার ইংরেজবাজারে। দোকানে প্রচুর বাজি মজুত করে রাখা হয়েছিল। সেই দোকানেই লেগে যায় আগুন। পরপর বিস্ফোরণ ঘটে। সেই আগুনে ঝলসে মৃত্যু হয় একজনের। সঙ্গে বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন আরও অন্তত তিনজন। এদিকে সেই বাজির দোকান থেকে আশেপাশের আরও চারটি দোকানে আগুন লেগে গিয়েছে। আগুন এতটাই ভয়াবহ যে গোটা এলাকার আকাশ কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে। এদিকে দমকলের দু’টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।

স্থানীয় সূত্রে খবর, ইংরেজবাজারের রথবাড়ি এলাকার নেতাজি পুর বাজারে সকাল ৬টা নাগাদ এই আগুন লাগে। এলাকার লোকেরা সকাল সকাল বিকট বিস্ফরণের আওয়াজ শুনতে পান। সঙ্গে সঙ্গে বাড়ি ছেড়ে বাইরে চলে আসেন অনেকে। দমকলকে খবর দেন স্থানীয়রা। এরপর দমকলকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে দোকানের শাটার ভেঙে দেন। ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয় একজনের মৃতদেহ। এদিকে যে বাজারে আগুন লেগেছে, সেই এলাকাটি অত্যন্ত ঘিঞ্জি বলে জানা গিয়েছে। এই আবহে প্রশ্ন উঠেছে, এভাবে ঘিঞ্জি বাজারে অবস্থিত দোকানের মধ্যে কেন এত বাজি মজুত করে রাখা হয়েছিল। বাজির বৈধতা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। এদিকে সেই দোকানে বাজি মজুতের লাইসেন্স ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখার দাবি উঠেছে।

এদিদে দুর্ঘটনার খবর পেয়েই রথবাড়ি বাজারে পৌঁছান ইংরেজবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী। সেই সময় লাইসেন্স ইস্যুতে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। তবে তিনি প্রশ্ন এড়িয়ে যান। তিনি জানান, প্রাথমিক ভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনাই প্রশাসনের লক্ষ্য। তবে বেআইনি ভাবে বাজি মজুত রাখার বিষয়টি সামনে এলে পর্যাপ্ত আইনি পদক্ষেপ করা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি। এই নিয়ে গত ৬ দিনে বাজি বিস্ফোরণে রাজ্যে প্রাণ হারালেন ১৫ জন। গতকালই অবৈধ বাজি নিয়ন্ত্রণে নজরদারি নিয়ে আলোচনা হয়েছিল রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে। আর তার পরদিনই সকালে এহেন দুর্ঘটনা। পুলিশের ওপর তাই প্রশ্ন উঠছে। তবে বিগত কয়েক দিনে পুলিশও রাজ্যে ৪০ হাজার কেজি বেআইনি বাজি উদ্ধার করেছে। তবে অবৈধ বাজি তৈরির রমরমা ক্রমেই মরণফাঁদে পরিণত হচ্ছে রাজ্যবাসীর জন্য।