Faizan Ahmed: আদালতের নির্দেশে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে তোলা হল ফয়জানের দেহ

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে আইআইটি খড়্গপুরের ছাত্র ফয়জান আহমেদের মৃতদেহ দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে তোলা হল। মঙ্গলবার ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ডিব্রুগড়ের কবরস্থান থেকে ফয়জানের দেহ তোলা হয়। সেই সময় সেখানে ছিলেন রাজ্য পুলিশের প্রতিনিধি এবং ফয়জানের পরিবারের সদস্যরা। এছাড়াও ছিলেন অসম পুলিশের প্রতিনিধি এবং গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজের ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা।

জানা গিয়েছে, আজ তাঁর মৃতদেহ কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে আসার কথা রয়েছে। সেখানে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করা হবে ফয়জানের মৃতদেহের। তবে ময়নাতদন্ত কবে হবে সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। তবে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ রয়েছে এক মাসের মধ্যে মৃতদেহ ময়নাতদন্ত করতে হবে। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা গত ২৫ এপ্রিল নির্দেশ দিয়েছিলেন ফয়জানের দেহ দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করতে হবে। কিন্তু, রাজ্য সরকার সিঙ্গল বেঞ্চের ওই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায়। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের আবেদন খারিজ করে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশই বহাল রাখে। তার পরেই ফয়জানের দেহ তোলা হয় কবর থেকে। চিকিৎসক অজয়কুমার গুপ্তর পর্যবেক্ষণে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করতে বলা হয়েছে। এক মাসের মধ্যে ময়নাতদন্ত করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

বিচারপতি মান্থার নির্দেশ ছিল, অসম পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে কবরে থাকা ফয়জানের দেহ তুলে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করতে হবে। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ময়নাতদন্ত করানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। তার আগে হাইকোর্ট একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করেছিল। সেই কমিটির মাথায় ছিলেন চিকিৎসক অজয় গুপ্ত। ওই কমিটি রিপোর্টে জানিয়েছিল, ফয়জানের মাথায় ভারি কিছু দিয়ে আঘাত করার চিহ্ন রয়েছে। তবে পুলিশি রিপোর্টে তার উল্লেখ ছিল না। সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখার পরে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি।

উল্লেখ্য, গত ১৪ অক্টোবর আইআইটি খড়্গপুরের লালা লাজপত রায় হলের একটি ঘর থেকে ফয়জান আহমেদের পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়। এরপরেই ঘটনার তদন্ত শুরু করে খড়গপুর টাউন থানার পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য দেহ পাঠানো হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। তারপরেই অসমের তিনসুকিয়া থেকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে এসে ছেলেকে খুনের অভিযোগ করেছিলেন ফয়জানের বাবা মা। প্রথমে মৃতদেহটি ফয়জানের বলে অস্বীকার করে তাঁর পরিবার। পরে তাঁরা দেহটি শনাক্ত করেন।ফয়জানের মৃত্যুর ঘটনায় খড়গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গত ১৮ ফেব্রুয়ারি একটি এফআইআর রুজু করেন। তাতে উল্লেখ করা হয়, গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ফয়জান আইআইটি কর্তৃপক্ষকে একটি ইমেইল করেন। তাতে ৪ ছাত্রের বিরুদ্ধে র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ তোলা হয়। এমনকী ওয়ার্ডেন এবং সহকারী ওয়ার্ডেন এনিয়ে কোনও ব্যবস্থা নেননি বলেও অভিযোগ তোলা হয়। তার ভিত্তিতে ৪ জন আদালতে গিয়ে সম্প্রতি আত্মসমর্পণ করেছেন। পরে অবশ্য তাঁদের জামিন দিয়েছে আদালত।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup