WB Uccha Madhyamik Topper Marksheet: ‘সায়েন্স’ না নিয়েও উচ্চমাধ্যমিকে প্রথম, কোন কোন বিষয়ে ১০০ পেয়েছেন শুভ্রাংশু?

এই বছরের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রথম স্থানাধিকারী হলেন নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের শুভ্রাংশু সর্দার। ৪৯৬ পেয়ে এমনিতেই নজর কেড়েছেন তিনি। তবে তাঁর ‘সাবজেক্ট কম্বিনেশন’ নিয়ে বিস্তর চর্চা শুরু হয়েছে। ‘পিওর সায়েন্স’ নয় বরং অঙ্কের সঙ্গে অর্থনীতি এবং স্ট্যাটিস্টিক্স নিয়ে পড়াশোনা করে এই অভাবনীয় ফলাফল করেছেন শুভ্রাংশু। তবে কোন বিষয়ে তিনি কত নম্বর পেয়েছেন? অর্থনীতি এবং অঙ্কে ১০০-য় ১০০ পেয়েছেন শুভ্রাংশু। স্ট্যাটিসটিকসেও তিনি পেয়েছেন ১০০। এছাড়া প্রথম ভাষা বাংলায় শুভ্রাংশু পেয়েছেন ৯০। এবং দ্বিতীয় ভাষা ইংরেজিতে তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৯৮। তাছাড়া কম্পিউটার সায়েন্সে তিনি পেয়েছেন ৯৮। যেহেতু ‘বেস্ট অফ ফাইভে’ উচ্চমাধ্যমিকের রেজাল্ট নির্ধারণ করা হয় তাই বাংলা বাদে বাকি পাঁচ বিষয়ের নম্বরের ওপর তাঁর রেজাল্ট হয়েছে। (আরও পড়ুন: প্রথম দশে এবার স্থান পেয়েছেন ৮৭, একনজরে উচ্চমাধ্যমিকের মেধাতালিকা)

এদিকে ফলপ্রকাশের পর সংবাদমাধ্যমকে শুভ্রাংশু জানান, তিনি আশা করেননি যে তাঁর এত ভালো ফল হবে। তিনি বলেন, ‘প্রথম দশের মধ্যে থাকব, এমন একটা আশা ছিল। তবে একেবারে প্রথম হয়ে যাব, সেটা ভাবিনি।’ এদিকে ‘সাবজেক্ট কম্বিনেশন’ নিয়ে তিনি বলেন, ‘মাধ্যমিক পরীক্ষ হয়েছিল লকডাউনের সময়। তখন অত পড়াশোনা করিনি। বিজ্ঞানের প্রতি ভালোবাসা জন্মায়নি। তাই এই বিষয়গুলি বেছে নিই উচ্চমাধ্যমিকে।’ শুভ্রাংশু জানান, ভবিষ্যকে তিনি অর্থনীতি নিয়েই উচ্চশিক্ষা লাভ করতে চান। পাশাপাশি তিনি জানান, অঙ্ক আর স্ট্যাটিস্টিকসও তাঁর খুব পছন্দের বিষয়। তাঁর মতে, বর্তমান বিশ্বে ইকো-ম্যাথ-স্ট্যাটের থেকে মূল্যবান ‘কম্বিনেশন’ আর কোনওটাই নয়। তিনি বলেন, ‘এককালে এই কম্বিনেশনকে আমি সিউডো সায়েন্স বলতাম।’

এদিকে অর্থনীতির প্রতি তাঁর ভালোবাসা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এই বিষয়ে দু’জন ভারতীয় নোবেল পেয়েছেন বলে নয়, আমি আগে থেকেই রাজনীতি এবং বিশ্ব দর্শন নিয়ে ভাবতাম।’ তাঁর কথায়, শুধু পড়াশুনো করলে হয় না, একটা প্যাশন থাকা চাই। তিনি জানান, পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি বই পড়েছেন, সিনেমা দেখেছেন। পাশাপাশি পড়াশোনাটাকে নিজের প্যাশন বানিয়েছেন শুভ্রাংশু। তিনি বলেন, ‘মন দিয়ে পড়লে দিনে ৪ ঘণ্টা বই নিয়ে বসলেই হয়।’ এদিকে স্কুল এবং পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে তিনি বলেন, ‘নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের একটি ঐতিহ্য রয়েছে। আমার স্কুলের সকলকে, আমার পরিবার এই সাফল্যের অংশীদার।’