কবে কালীঘাট স্কাইওয়াক আমজনতা ব্যবহার করতে পারবে?‌ সময়সীমা বাঁধল রাজ্য

আগামী ২০২৪ সালে কালীঘাট স্কাইওয়াক আমজনতাকে উপহার দিতে চায় রাজ্য সরকার। তাই এবার কলকাতা পুরসভা এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্মাণকারী সংস্থাকে ধাপে ধাপে কাজের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হল। যাতে দ্রুত কাজ এবং সঠিক কাজ হয়। ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর নেতৃত্বে একটি বৈঠক হয়েছে। আর সেখানেই ডিসেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে। তাই জোরকদমে কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।

এদিকে মুখ্যসচিবের বৈঠকের পর তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে। দফায় দফায় নির্মাণস্থল পরিদর্শন করেছেন কলকাতা পুরসভার কর্তারা। বুধবারও পরিদর্শনে যান তাঁরা। আগে বিস্তর স্কাইওয়াক নিয়ে ঝামেলা হলেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুষ্ঠু পরিষেবা বাংলার মানুষকে দিতে চান। তাই তিনি আগেই এই কালীঘাট স্কাইওয়াক নিয়ে কাজ শেষ করার কথা বলেছিলেন। এখানে জটিলতা তৈরি হয়েছিল স্থানীয় হকার এবং ব্যবসায়ীদের সরাতে। যদিও পরে সেই সমস্যা মিটেছে। ওই এলাকায় কালী টেম্পল রোডের ভূগর্ভস্থ নানা পাইপলাইন সরানোর নিয়েও বেশ বেগ পেতে হয়। মাটির তলা দিয়ে গিয়েছে পানীয় জল, নিকাশি পরিষেবা। সেগুলি ঠিক করে সরাতে যথেষ্ট সময় লাগে। প্রায় দু’বছরেরও বেশি সময় হয়ে গিয়েছে। পয়লা বৈশাখে কালীঘাট মন্দিরে পুজো দিতে গিয়ে অসন্তোষ ব্যক্ত করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে উপযুক্ত পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেন তিনি।

অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রীর কড়া নির্দেশের পর কলকাতা পুরসভা, পূর্তদফতর, কলকাতা পুলিশ এবং নির্মাণকারী সংস্থাকে নিয়ে বৈঠকে বসেন মুখ্যসচিব। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকেই প্রতি ধাপে কাজের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। এমনকী মাটির উপরিভাগে স্কাইওয়াকের মূল কাঠামো নির্মাণের কাজ জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময় শুরু করতে হবে। আর ডিসেম্বর মাসের মধ্যে শেষ করে ফেলতে বলা হয়েছে। যাতে তা কালীঘাট মন্দিরে যাঁরা আসেন এবং আমজনতার জন্য খুলে দেওয়া যায়।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, আপাতত নির্মাণকারী সংস্থা বদল করা হচ্ছে না। তাদের দিয়েই কাজ করানো হচ্ছে। তবে কাজ দ্রুতগতিতে চলছে। যাতে বাংলার মানুষের জন্য এই স্কাইওয়াক খুলে দেওয়া যায়। পাইলিংয়ের কাজ জুন মাসের মধ্যে শেষ করার চেষ্টা চলছে। ওখানে প্রচুর ভারী যন্ত্রপাতি দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। তাই নির্মাণস্থল ও তার আশপাশে আমজনতার গতিবিধি নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে পুলিশকে বিশেষ পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে। আর এই স্কাইওয়াক হয়ে গেলে দক্ষিণ কলকাতার বুকে একটা বড় কাজ সম্পন্ন হবে।