অনুব্রত মণ্ডল কি তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়তে চলেছেন?‌ বড় দাবি করলেন অধীর চৌধুরী

একদা কংগ্রেস করতেন। তখন রাজীব গান্ধীর জমানা। তারপর কালের গতিতে কংগ্রেস বাংলায় শীর্ণকায় হয়ে পড়ে। তখন তিনি যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে। সেখান থেকেই কার্যত উত্থান তাঁর। গোটা জেলা–সহ দেশ এখন তাঁর নাম জানে। যদিও এখন তাঁর মেয়ে এবং স্বয়ং তিনি তিহাড় জেলে বন্দি। অভিযোগ গরুপাচার করে বিপুল সম্পত্তি গড়ে তোলা। যা ইতিমধ্যেই ইডি অ্যাটাচ করেছে। হ্যাঁ, তিনি বীরভূম তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলও জেলবন্দি। এই অনুব্রত মণ্ডল তৃণমূল কংগ্রেসে থাকবে না বলে দাবি করলেন বহরমপুরের সাংসদ তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী।

এদিন বীরভূমে দাঁড়িয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তেমনই দাবি করেছেন। আর তাতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে কেষ্টর জেলায়। তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে কোথায় যাবেন কেষ্ট?‌ জেলাজুড়ে এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অনুব্রত মণ্ডলের গড় বীরভূমে দাঁড়িয়েই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী বোলপুরে কংগ্রেসের একটি সভা করেন। সেখান থেকে অধীরের দাবি, কেষ্ট আর তৃণমূলে থাকবে না। মোদীকে খুশি করতে এখন থেকেই গেরুয়া পরছে। অর্থাৎ সরাসরি বিজেপিতে যাচ্ছেন অনুব্রত মণ্ডল এটাই বোঝাতে চেয়েছেন তিনি।

ঠিক কী বলেছেন অধীর?‌ বোলপুরের রেল ময়দানের সভা থেকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি যখন এমন দাবি করছেন তখন সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস জেলা সভাপতি মিলটন রশিদ–সহ দলের অন্যান্য নেতারা। তিনি বলেন, ‘‌জেল থেকে মুক্তি পেতে এখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে খুশি করার চেষ্টা করছেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি। কেষ্ট আগামী দিনে আর তৃণমূলে থাকবে না। সেটা মিলিয়ে নেবেন আপনারা। কেষ্টর ফতুয়ার রং পালটে গিয়েছে। আগে কেষ্ট সবুজ ফতুয়া পরত দিদিকে খুশি করার জন্য। এখন কেষ্ট গেরুয়া রংয়ের ফতুয়া পরছে মোদীকে খুশি করার জন্য।’‌ যদিও এই নিয়ে তৃণমূলের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী যখন এই আক্রমণ করছেন তখন সেদিনই অনুব্রত, তাঁর স্ত্রী এবং মেয়ের নামে থাকা বিপুল সম্পত্তি অ্যাটাচ করেছে ইডি। সেটা নিয়েও অনুব্রতকে কটাক্ষ করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। অধীর বলেন, ‘অনুব্রতর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এতো হাতি কা পেট মে ইলাচি কা দানা। এক রকম কত কেষ্ট বাজারে আছে। দিদি গর্ব করে বলেন, কেষ্ট নাকি বাঘ। এই বাঘ কয়লা খায়, বালি খায়, পাথর খায়, টাকা খায়।’‌