চিঠিকাণ্ডে অভিষেককে জেরার পর কুন্তলকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে প্রেসিডেন্সি পৌঁছল সিবিআই

চিঠিকাণ্ডে নিয়োগ দুর্নীতিতে জেলবন্দি বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষকে জারা করতে প্রেসিডেন্সি জেলে গেল সিবিআই। বুধবার বিকেলে সিবিআইয়ের ২ সদস্যের দল প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে কুন্তলকে জেরা করছেন। কেন কুন্তল ঘোষ চিঠি দিয়ে তাঁকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন তা জানতে চান গোয়েন্দারা। কারও চাপ বা পরামর্শে তিনি এই কাজ করেছিলেন কি না সেপ্রশ্নও করতে পারেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা।

কুন্তলের চিঠি সংক্রান্ত মামলায় গত শনিবার তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কলকাতার নিজাম প্যালেসে জেরা করে সিবিআই। প্রায় সাড়ে ন’ঘণ্টা জেরা করা হয় তাঁকে। সেদিনই সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছিল, জেলে গিয়ে অভিযোগকারী কুন্তল ঘোষকেও জেরা করতে চলেছে তারা। অভিষেকের বয়ান খতিয়ে দেখে যাবতীয় নথিপত্র নিয়ে বুধবার বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ প্রেসিডেন্সি জেলে পৌঁছন সিবিআইয়ের এক ডিএসপি ও ইন্সপেক্টর। সূত্রের খবর, কেন কুন্তল ওই অভিযোগ করেছিলেন তা জানতে চাইবেন তাঁরা। এমনকী নিজের অভিযোগের সমর্থনে কুন্তলের কাছে কোনও প্রমাণ রয়েছে কি না তাও জানতে চাইতে পারেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বয়ান মিলিয়ে দেখবেন তাঁরা।

গত ৩০ মার্চ আদালতে পেশের সময় কুন্তল ঘোষ অভিযোগ করেন তাঁকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নেওয়ার জন্য চাপ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। এমনকী এই মর্মে বিচারককে চিঠি দেন তিনি। পরে জেল সুপারের মাধ্যমে হেস্টিংস থানায় একই অভিযোগ করেন। এর পরই আদালতের দ্বারস্থ হয় ইডি। তাদের আবেদনের ভিত্তিতে সিবিআইকে অভিষেক ও কুন্তলকে জেরা করার অনুমতি দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে অভিষেক সুপ্রিম কোর্টে দেলে সর্বোচ্চ আদালত হাইকোর্টে মামলাটির এজলাস বদলের নির্দেশ দেয়। এর পর মামলা পৌঁছয় বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে। তবে এজলাস বদলালেও আদালতের নির্দেশ বদলায়নি। এমনকী ডিভিশন বেঞ্চেও স্বস্তি পাননি অভিষেক। যার ফলে সিবিআইয়ের মুখোমুখি হতে হয় তাঁকে।