Jamai Sasthi 2023: কোন কোন উপকরণ ছাড়া অপূর্ণ থাকে জামাইষষ্ঠীর পুজো? কী বলছে পুজোর আদর্শ রীতি

বাংলার লৌকিক দেবদেবীর অন্যতম প্রধান দেবী হলেন মা ষষ্ঠী। মঙ্গলকাব্যে কথিত রয়েছে, তাঁর কৃপায় বন্ধ্যা রমণীর কোলে ফুটফুটে সন্তান আসে। দিনে দিনে সেই মা ষষ্ঠীর পুজোর সঙ্গেই জড়িয়ে গিয়েছে জামাইষষ্ঠীর পরম্পরা। প্রসঙ্গত, সারা বছর ধরে বাঙালি মায়েরা আরও বেশ কিছু ষষ্ঠী তিথি পালন করে থাকেন। এর মধ্যে সবথেকে জনপ্রিয় হল দুর্গা ষষ্ঠী এবং অরণ্যষষ্ঠী বা জামাইষষ্ঠী। জ্যৈষ্ঠ মাসে শুক্ল পক্ষের ষষ্ঠী তিথিকেই জামাইকে আপ্যায়নের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। মনে করা হয়, শ্বশুরবাড়িতে মেয়ের দিনগুলো যাতে মসৃণ হয়, সেই ভাবনা থেকেই জামাইবরণ। তবে এর পাশাপাশি অন্য একটি কাহিনিও প্রচলিত রয়েছে।

অন্যান্য ষষ্ঠীর মতো এই ব্রততেও প্রধান হল পুজোর ডালি। এতে কাঁঠালপাতার উপর পাঁচ, সাত বা নয় রকমের ফল সাজানো থাকে। তার মধ্যে একটি করমচা, সঙ্গে থাকে ১০৮ গাছা দূর্বা। এই দিন শ্বাশুড়িরা ভোরবেলা স্নান করে ঘটে জল ভরে নেন। এরপর ঘটের ওপর আম্রপল্লব স্থাপন করেন। সঙ্গে থাকে তালপাতার পাখা। একটি সুতো হলুদে রাঙিয়ে তাতে ফুল, বেলপাতা দিয়ে গিট বেঁধে সাজাতে হয়। এর পর মা ষষ্ঠীর পুজো করা হয়।

আরও পড়ুন: ঘন ঘন ময়লা জমে ফোনের কোনায়? ৫ জিনিস দিয়ে মুছেই দেখুন! একেবারে ঝকঝক করবে

আরও পড়ুন: এই কাজগুলি করে হাত ধোয়ার অভ্যাস নেই? বড় রোগ হতে পারে যে কোনও সময়

তার আগে সকালে ওই ডালি নিয়ে পুজো দিয়ে আসতে হয় মা ষষ্ঠীর থানে। ব্রতকথা পাঠের পরে সবাইকে ‘বাতাস’ দিয়ে, হাতে ষষ্ঠীর সুতো বেঁধে তবেই বাড়ির গৃহিণী উপবাস ভঙ্গ করেন। জামাই এলে সেই গাছা ঘটের জলে ভিজিয়ে তালপাতা দিয়ে বাতাস করতে হয়। এরপর তাঁকে বসিয়ে হাতে সুতোটা বেঁধে দিয়ে পাখার হাওয়া দিয়ে শ্বাশুড়ি ‘ষাট-ষাট-ষাট’ বলে আশীর্বাদ করেন। কথিত আছে- জামাইষষ্ঠীর আসল উদ্দেশ্য হল মাতৃত্ব, সন্তান ধারণ এবং বংশবৃদ্ধি। মেয়ে যাতে সুখে শান্তিতে দাম্পত্য জীবন যাপন করতে পারে, তার জন্য মঙ্গল কামনা। ষষ্ঠী পুজোর দিন আম্রপল্লব, তালপাখার পাখা, ধান, দূর্বা, পাঁচ থেকে নয় রকমের ফল, ফুল এবং বেলপাতা, সাদা সুতো ও হলুদ ইত্যাদি উপকরণগুলি না থাকলেই নয়।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup