SBI Cards: কার্ড বাতিলের পরেও বিল! ব্ল্যাকলিস্ট করে দেওয়ায় গ্রাহককে ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ

এসবিআই কার্ডস অ্যান্ড পেমেন্ট সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেডকে কড়া নির্দেশ দিল দিল্লির এক গ্রাহক সুরক্ষা ফোরাম। এক ব্যক্তিকে কার্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও তাঁকে বিল পাঠানো এবং তা না মেটানোয় ব্ল্যাকলিস্ট করে দেওয়া হয়েছিল। সেই বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। তার প্রেক্ষিতেই ওই SBI কার্ডসকে ওই গ্রাহকের হাতে ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ তুলে দিতে বলা হয়েছে।

নয়া দিল্লি ডিস্ট্রিক্ট কনজিউমার ডিসপিউটস রিড্রেসাল ফোরামের সভাপতি মনিকা এ শ্রীবাস্তব এবং সদস্য কিরণ কৌসাল এবং উমেশ কুমার ত্যাগী এই নির্দেশ দেন। তাঁরা সংস্থার ‘পরিষেবা প্রদানে অবহেলা’র জন্য প্রাক্তন সাংবাদিক এম জে অ্যান্টনিকে এই আর্থিক ক্ষতিপূরণের অর্থ প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়।

ফোরাম উল্লেখ করেছে, SBI কার্ড ওই ব্যক্তিকে RBI-এর ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের জন্য তৈরি CIBIL সিস্টেমে কালো তালিকাভুক্ত করেছে। এর ফলে তিনি আর অন্য ব্যাঙ্ক থেকে ক্রেডিট কার্ড নিতে পারছেন না। যেখানেই যাচ্ছেন, সেখানেই তাঁর আবেদন ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অথচ চিনি দুই দশক ধরেই নিয়মিত অ্যাকাউন্ট চালু রেখেছেন। কখনও ঋণখেলাপি করেননি।

‘কমিশনের পর্যবেক্ষণ, এসবিআই কার্ডস অ্যান্ড পেমেন্টস সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেডের অভিযোগকারীকে পরিষেবা প্রদানে ব্যর্থতা ও অবহেলার প্রমাণ মিলেছে। যদিও ক্রেডিট রেটিং-এর পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগকারীর লোকসান-ক্ষতির পরিমাণ অর্থের প্রেক্ষিতে পরিমাপ করা যায় না। সেই কারণে এই আদেশের তারিখ থেকে দুই মাসের মধ্যে ক্ষতিপূরণ হিসাবে অভিযোগকারীকে ২ লক্ষ টাকা প্রদান করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যর্থ হলে প্রদেয় পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াবে ৩ লক্ষ টাকা,’ এমনটাই জানিয়েছে কমিশন।

ক্ষতিপূরণ চেয়ে এম জে অ্যান্টনির অভিযোগের ভিত্তিতে ফোরাম ২০ মে এই আদেশ দেয়। এম জে অ্যান্টনি দাবি করেছিলেন, তাঁর কার্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার অনেক আগেই ২০১৬ সালের এপ্রিলেই তিনি তাঁর কার্ড বাতিল করে দিয়েছিলেন। সেটি রিনিউ না করার অনুরোধ করেছিলেন।

তিনি ৯ এপ্রিল ২০১৬-র পরে কোনও লেনদেনের জন্য কার্ড ব্যবহার করেননি বলে জানিয়েছেন। নিয়ম মেনেই কার্ড নষ্টও করে দেন। সেই কার্ডে কোনও পেমেন্ট করেননি।

এরপর সেপ্টেম্বরে, তাঁর কাছে কার্ড বাতিল করার বিষয়ে এসবিআই কার্ডস অ্যান্ড পেমেন্টসের কাছ থেকে একটি চিঠি আসে। কিন্তু SBI কার্ডস তাঁর সেই ই-মেইল উপেক্ষা করেই কার্ড সংক্রান্ত বিল পাঠাতে থাকে বলে জানিয়েছেন তিনি।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup