কনভয়ে হামলার পর আজই জঙ্গলমহলে মুখ্যমন্ত্রী, কড়া বার্তা কি দেবেন মমতা?‌

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসংযোগ যাত্রার কনভয়ে হামলা হয়েছে। আর তা নিয়ে এখন রাজ্য–রাজনীতি সরগরম। এই পরিস্থিতিতে আজ জঙ্গলমহলে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু যাচ্ছেন না, সেখানে তিনি দলের এই কর্মসূচিতে যোগও দেবেন। আজ, শনিবার প্রথমে তিনি যাবেন এগরার খাদিকুল গ্রামে। যেখানে গত ১৬ মে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে হয় এবং ১১ জন মারা যান। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, সেখানে নিহতদের বাড়িতে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তুলে দেবেন আর্থিক সাহায্য। তারপরই শালবনী রওনা হওয়ার কথা।

তারপর কী করবেন মুখ্যমন্ত্রী?‌ শালবনীতে ‘তৃণমূলে নব জোয়ার’ কর্মসূচিতে আজ, শনিবার একমঞ্চে দেখা যাবে মমতা–অভিষেককে। শুক্রবার রাতের ঘটনার পর তাই নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও আঁটোসাঁটো করেছে পুলিশ। কুড়মি আন্দোলন ও অভিষেকের কনভয়ে হামলা নিয়ে আজকের সভা থেকে কড়া বার্তা দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী বলে সূত্রের খবর। যে জঙ্গলমহলে তিনি শান্তি ফিরিয়েছেন সেখানে কে বা কারা নতুন করে অশান্তির মুক্তাঞ্চল তৈরি করতে চাইছে তার ইঙ্গিত মিলতে পারে মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে গেরুয়া শিবিরের হাত থেকে যে রাজনৈতিক জমি পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস সেটা অক্ষত রাখতে দলের কর্মী–সমর্থকদেরও বিশেষ বার্তা দিতে পারেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেলিকপ্টারে যাবেন বলে এগরায় বিস্ফোরণস্থল লাগোয়া আলিপুর গ্রামে অস্থায়ী হেলিপ্যাড নির্মাণ করা হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি, পুলিশ সুপার অমরনাথ কে–সহ মহকুমা প্রশাসন ও পুলিশের কর্তারা প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেছেন। কারণ গতকাল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ে হামলা হয়েছে। অভিষেক একজন সাংসদ। এমনকী মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার গাড়ির কাঁচ ইট মেরে ভেঙে দেওয়া হয়। তাতে একজনের চোখের ক্ষতি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা জঙ্গলমহল।

অভিষেকের সূচি ঠিক কী?‌ আজ, শনিবার দুপুরে ঝাড়গ্রামের লোধাশুলি থেকে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুরের চৌরঙ্গীতে প্রবেশ করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে স্বাগত জানাবেন জেলার ১৩ জন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক। এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, ‘‌৭০ থেকে ৮০ হাজার মানুষের জমায়েত হবে। সবরকম প্রস্তুতি সেরে রাখা হয়েছে।’‌ এখান থেকে ধর্মা, কেরানিচটি হয়ে শালবনীর কাছারি রোড ব্রিজে যাবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে জনসংযোগ কর্মসূচি সেরে পৌঁছবেন শালবনীর নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু স্টেডিয়ামে। বিকেল ৩টে নাগাদ মেদিনীপুর কুইকোটা হেলিপ্যাডে নেমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও পৌঁছবেন ওই স্টেডিয়ামে। সেখানেই এক মঞ্চে দেখা যাবে দুই শীর্ষ নেতৃত্বকে। এই স্টেডিয়ামেই রাতে থাকবেন অভিষেক। তবে মুখ্যমন্ত্রী ফিরবেন মেদিনীপুর সার্কিট হাউসে। সেখানে রাত কাটিয়ে রবিবার সকালে কলকাতা ফেরার কথা। অভিষেক এই জেলায় থাকবেন সোমবার পর্যন্ত।