‘সুব্রতদা বলতেন CPMকে সপ্তাহে একবার পেটাই দেওয়া দরকার,’ শালবনি থেকে বিচুটির কথাও মনে করালেন মমতা

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ে শুক্রবারই হামলা করা হয়। আর তারপরের দিন শনিবারই শালবনিতে উপস্থিত হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই শালবনির সভাতে গিয়ে আচমকাই নেত্রীর মনে পড়ে গেল প্রয়াত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বলা কথা। কী সেই কথা?

আসলে সিপিএম প্রসঙ্গেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একথা বলতেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। এমনটাই দাবি নেত্রীর। মমতা বলেন, সুব্রতদা বলতেন, তোর বড় দোষ। তুই এই সিপিএমটাকে ক্ষমা করলি। তুই জানিস যা অত্যাচার করেছে। সপ্তাহে একবার যেমন রেশন পাওয়া যায় তেমন সপ্তাহে একবার পেটাই দেওয়া উচিত। বললেন মমতা।

তবে কি এবার বদলা নেবে তৃণমূল? মমতা বলেন, আমরা কাউকে মারব না। পাপের মার বিচুটি দিয়ে ঘষলে চলে যাবে। বন্দুকের দরকার নেই। লাঠির দরকার নেই। জানিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

কার্যত অভয় দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সিপিএমকে যে মারধর করা হবে না সেকথাও জানিয়ে দিলেন তিনি। তিনি জানান, আমরা গুজরাটের বিজেপি নই,উত্তরপ্রদেশের বিজেপি নই, কেরলের সিপিএম নই যে, বদলা নিই। বদলা নয়, বদল চাই।

বাস্তবিকই এই স্লোগানকে সঙ্গে নিয়েই ক্ষমতার অলিন্দে এসেছিল তৃণমূল। তারপর ক্ষমতার বদল হয়েছে রাজ্যে। তবে বদলা হয়েছে কি না সেটা বিতর্কের বিষয়।

তবে মমতার সংযোজন, বিজেপি, সিপিএম বড় বড় কথা বলছে। সারা রাজ্য ছাড়লেও মেদিনীপুর ধরলে চমকাইতলা আসবে, কেশিয়ারি আসবে, কেশপুর আসবে। কী করেননি আপনারা। ধোপা নাপিত বন্ধ, স্কুলে যাওয়া বন্ধ। মুন্ডু কেটে হলদি নদীর জলে ভাসিয়েছেন।

কার্যত সিপিএমকে নিশানা করে আক্রমণ শানালেন তৃণমূল নেত্রী। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্যেকে ঘিরে পালটা মন্তব্য করেছেন বাম নেতৃত্ব।

প্রসঙ্গত বাংলায় দীর্ঘদিনের বাম জমানার অবসান ঘটিয়ে ক্ষমতার মসনদে বসেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। বাম আমলে যে দাপট ছিল সিপিএমের তার সিকিভাগও এখন আর নেই। তবে এখনও জেলায় জেলায় বিভিন্ন ইস্যুতে মাঝেমধ্যে মাথাচাড়া দেয় সিপিএম। সেই ক্ষয়িষ্ণু সিপিএমের প্রসঙ্গই এদিন তুলে আনলেন মমতা।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃণমূল যখনই কোনও কারণে অস্বস্তিতে পড়ে তখনই বাম আমলের কথা উল্লেখ করে বাংলার রাজনৈতিক জলকে ঘুলিয়ে দেয়। চাকরির চুরির অভিযোগ যখন ওঠো তখনই বাম আমলের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তৃণমূল। আবার হিংসার প্রসঙ্গ উঠলেও পালটা বাম আমল তুলে আনেন মমতা।এবার সামনে কুড়মি ইস্যু। ফের বাম আমলের কথা বলে চর্চার অভিমুখ বদলে দিল তৃণমূল।