Mamata Banerjee: ‘মণিপুর বানাতে রাজ্যে কুড়মিদের মদত দিচ্ছে বিজেপি’, কনভয় হামলা নিয়ে তোপ মমতার

বিজেপির মদতেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও বীরবাহা হাঁসাদার গাড়িতে হামলা হয়েছে। শনিবার শালবনির নবজোয়ার যাত্রার মঞ্চ থেকে গেরুয়া শিবিরকে তীব্র আক্রমণ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

শুক্রবার কনভয় হামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন,’আমি বিশ্বাস করি কুড়মি ভাইয়েরা এই কাজ করতে পারে না। বিজেপিই এই কাজ করিয়েছে। অভিষেকের উপরও ওরা হামলা করতে গিয়েছিল।’ তিনি মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার কনভয়ে হামলা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। মমতা বলেন, ‘এত বড় সাহস! কাল আমাদের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার গাড়িও ভাঙচূর করেছে। ও এক আদিবাসী মেয়ে। অনেক কাজ করে। সিনেমা করে, নাটক করে। আমি ওকে দিয়ে অনেক কাজ করাই। ওর গাড়ি ভেঙেছে। আমি মনে করি কুড়মিদের নাম করে বিজেপির স্লোগান দিয়ে অত্যাচার করেছে। আদিবাসী মেয়ের গায়ে হাত দিয়েছে।’

এর পর তিনি আদিবাসী উন্নয়নে তাঁর সরকার কী কী কাজ করেছে তার খতিয়ান তুলে ধরেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সিপিএম আমলে এই সব জায়গায় বড় বড় গর্ত ছিল। মাছ চাষ হতো। আমরা রাস্তা তৈরি করেছি। হাসপাতাল তৈরি করেছি। আগে আদিবাসী ভাইরা অনাহারে থাকতেন। পিঁপড়ে খেতেন। আমরা এসে অবস্থার পরিবর্তন করেছি।’

কুড়মি নেতাদের হুঁশিয়ারি

এ দিন কুড়মি নেতাদেরও হুঁশিয়ারি দিয়ে মমতা বলেন,’যাঁরা কয়েকদিন ধরে ক্রমাগত আক্রমণ করছেন। রেল লাইন অবরোধ করছেন। রাস্তা অবরোধ করছেন। বাড়ি-গাড়ি ভাঙছেন। এখানে জাতি-দাঙ্গা করার চেষ্টা করছেন যে মাথারা, তাঁরা মনে রাখবেন যদি ভালভাবে থাকেন, আপনাদের মাথায় ছাতা আমি ধরব। আর যদি মনে করেন বিভেদের রাজনীতি করবেন, টাকা খেয়ে বিজেপি যা বলবে, অভিষেকের কনভয়ে, বীরবাহার কনভয়ে আক্রমণ করা হচ্ছে। কেন? আমি সব সহ্য করতে পারি। আমি চোখ রাঙানি সহ্য করি না। (পড়তে পারেন। ‌‘‌শিশুদের আরও যত্ন নিন’‌, শালবনি হাসপাতালে সারপ্রাইজ ভিজিটে বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর)

মণিপুর প্রসঙ্গ

কর্মী সভায় মমতা অভিযোগ তোলেন, মণিপুরে অশান্তির পিছনে বিজেপির হাত রয়েছে। রাজ্যেও ‘জাতিদাঙ্গা’ বাঁধানোর জন্য কুড়মিদের মদত দিচ্ছে বিজেপি। তাঁর অভিযোগ, মণিপুরের মতো অশান্তি পাকানো চক্রান্ত করেছে বিজেপি। সে জন্য কুড়মি নেতাদের টাকাও দিচ্ছে তারা। তিনি কুড়মিদের উদ্দেশে বলেন,’ আপনাদের মধ্যে আগুন লাগিয়ে দেবে। মণিপুরে যেমন রক্ত ঝরছে, এখানেও সেরকম হবে। হঠাৎ করে একদিন  দিল্লি থেকে সেনা চলে আসবে। বন্দুক ধরবে। গুলি করবে। মরে গেলে একটা কেসও করতে পারবেন। একটা আইন আসে।’

আদিবাসী উন্নয়ন পর্ষদ

জঙ্গলমহলে আদিবাসী উন্নয়নে একটি পর্ষদ তৈরির আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন,’ আমি ঠিক করেছি, একটি ট্রাইবাল ডেভলপমেন্ট বোর্ড তৈরি করব। আমি নিজে চেয়ারম্যান থাকব। আমার সঙ্গে বীরবাহা হাঁসদা ও অন্যান্য আদিবাসী ভাইবোনরা থাকবেন।’